নির্বাচনী প্রচারণার সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দিকে পাথর ছুঁড়ে মেরেছে বিক্ষোভকারীরা। তবে এতে তিনি বা কেউ আহত হননি। প্রচারণার সময় প্রায়ই কোভিড সংক্রান্ত নীতিমালা বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। গত সপ্তাহেও ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা ট্রুডোর একটি প্রচারণা সভাকে ঘিরে ফেলেছিল। ফলে তাকে ওই সভা বাতিল করতে হয়।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কানাডায় নির্বাচন। সেই উপলক্ষে অন্টারিওর লন্ডনে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে যান দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তাকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেছে। খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি জানিয়েছে, ট্রুডো তার এক কাঁধে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে সেটি গুরুতর নয়। এছাড়া আরও দুজনের ওপরে পাথর পড়লেও তারাও অক্ষত আছেন। বিরোধীদল কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা এরিন ওটুলে এই ঘটনাকে ‘বিরক্তিকর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা কখনই কাম্য নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি বার (মদ্যশালা) পরিদর্শন করার পর নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত বাসে ফিরছিলেন ট্রুডো। ঠিক তখনই তাকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সৌভাগ্যক্রমে তিনি কোনো আঘাত পাননি।
আগামি ২০ সেপ্টেম্বর আয়োজিত হতে যাচ্ছে ওই নির্বাচন। এর আগে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ট্রুডোর ভ্যাকসিন নীতি। দেশটির সরকার ঘোষণা করেছে, সরকার নিয়ন্ত্রিত ক্ষেত্রগুলোতে কর্মরত সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে এটি না করলে তাদের চাকরি চলে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়া, বিমান ও ট্রেনের যাত্রীদেরও ভ্যাকসিন নেয়া হতে হবে। এসব সরকারি প্রচারণা ও চাপের কারণেই কানাডা এখন বিশ্বের সবথেকে বেশি ভ্যাকসিন প্রদান করা রাষ্ট্রগুলোর একটি। তবে অনেকেই এই কড়াকড়ি পছন্দ করছে না।
এর আগে আগস্টের মাঝামাঝিতে জরুরিভাবে নির্বাচন আয়োজনের ডাক দেন ট্রুডো। নিজের বামপন্থী লিবারেল পার্টির জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের আশা নিয়েই তার এ পদক্ষেপ।কিন্তু কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যান্ডেট এবং অন্যান্য বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কারণে তার প্রচারণা ব্যাহত হয়।এক সপ্তাহ আগেই বিক্ষোভকারীদের কারণে একটি নির্বাচনী র্যালি বাতিল করতে বাধ্য হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।