বাংলাদেশবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীরাজনীতি

জামায়াতের গোলাম পরওয়ারসহ দশ নেতা গ্রেপ্তার

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল হক জানিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম পারওয়ারসহ দশজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুইজন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রয়েছে।জামায়াত সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা রয়েছেন। 

পুলিশ জানায়, বসুন্ধরার এক বাসায় বৈঠকের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গোপন বৈঠক করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে যেসব আলামত পাওয়া গেছে, সেগুলো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য আবদুর রব, ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন এবং ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত। অন্য তিনজন জামায়াতের অফিসের কর্মচারী বলে জানা গেছে।

জামায়াত আমির শফিকুর এক বিবৃতিতে বলেছেন, পরওয়ার, রফিকুল ও আযাদসহ ৭ নেতা এবং তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব, ইজ্জত উল্লাহ ও মোবারক হোসাইন এবং ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত।তিনি অবিলম্বে ১০ জনকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার আছে। এটা দেশের জনগণের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারও নেই। গায়ের জোরে বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। অতীতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করে জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনকে দমন করা যায়নি। এখনো যাবে না ইনশা আল্লাহ।’

Back to top button