অবশেষে মুক্তি পেলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি ওই কারাগারে ২৬ দিন বন্দী ছিলেন। পরীমনির মুক্তি পাবেন—এই খবর পেয়ে ভোর থেকে কারা ফটকে উৎসুক মানুষ তাঁকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ শাহ শরীফ জানান, আদালত থেকে পরীমনির জামিনের কাগজপত্র মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাতে কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে পরীমনিকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।এ সময় পরীমনির স্বজনরা কারা ফটকে উপস্থিত ছিলেন।
মাদক মামলায় জামিন পাওয়া চিত্রনায়িকা পরীমনির মুক্তির অপেক্ষায় স্বজনেরা আজ বুধবার সকাল থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের সামনে অবস্থান করছিলেন। তখন পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, পরীমনিকে কারাগার থেকে নিতে তাঁর খালু জসীমউদ্দিনসহ সাত-আটজন স্বজন এসেছেন।
গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এসময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওইদিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে ৪ দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ২ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
পরে ১৩ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল। আদালতের আদেশে ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ওই কারাগার থেকে গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে এক দিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পুনরায় পরীমনিকে এ কারাগারে পাঠানো হয়।