ধর্ষণের মামলায় পুলিশের এসআই গ্রেপ্তার

ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণীর মামলায় ঢাকায় পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তার হওয়া এসআই খায়রুল আলম ঢাকার শেরে বাংলা নগর থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে গুলশান থানায়।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন  বাংলা ম্যাগাজিনকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এক তরুণীর মামলায় আজ খায়রুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগের মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে রাজধানীর নিকেতনের একটি ফ্লাটে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত এসআই খায়রুল আলম (৩২) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) শেরেবাংলা নগর থানায় কর্মরত ছিলেন। 

গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত সূত্রগুলো জানায়, এসআই খায়রুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে এক দিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী গুলশান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করার পর খায়রুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসআই খায়রুলকে আদালতে পাঠিয়ে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এডিসি ইফতেখায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, তদন্তের পর এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মাসখানেক আগে এক বন্ধুর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে এসআই খায়রুলের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। এর সূত্র ধরে খায়রুল তাকে বিভিন্ন সময় ফোন করে দেখা করতে বলতেন। গত সোমবার সকালে অফিসে যাওয়ার সময় স্কয়ার হাসপাতালের কাছে পান্থপথে খায়রুল ওই তরুণীকে দেখতে পান। বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগের মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে এসআই খায়রুল তাকে মোটরসাইকেলে করে গুলশানের নিকেতনে একটি বাসায় নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে পান্থপথে নামিয়ে দেন। অভিযুক্ত এসআই ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখান বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

Exit mobile version