মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইউম মারা গেছেন।সোমবার নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।সোমবার স্থানীয় সময় ১০টা ৪৫ মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান বলেন, দুপুরে কিংসওয়ে হাসপাতাল সূত্র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেলা ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (বিজি-০২২) উড্ডয়ন করেছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। পথে ভারতের আকাশে তিনি অসুস্থ বোধ করেন।আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সাথে সাথেই ক্যাপ্টেন কাইউম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। পরে প্লেনটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। তারা সবাইই নিরাপদে ছিলেন।এদিকে শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
শনিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তিনি ‘কোমায়’ চলে গেছেন।রোববার তার অবস্থার আরও অবনতি হয় বলে জানানো হয়। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে এবার জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটি প্রথম নয়। পাঁচ বছর আগে এভাবেই আরও ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।পরে ২০১৭ সালে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায় আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল।
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের প্লেনটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর প্লেনটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।