অন্ত:স্বত্ত্বা কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় দুই সন্তানের জনক সুমন পাল (৩৫) নামে এক কয়লা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রোববার রাতে তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফতার এ তথ্য নিশ্চিত করেন বলেন,সুনামগঞ্জ পৌর শহরে আত্বগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতারের পর শনিবার সন্ধায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানায়, চলতি বছরের ১ জুন উপজেলার তেলীগাঁও (কৃষ্ণতলা) গ্রামের সুমন পাল একই গ্রামের দরিদ্র সবজি বিক্রেতার ঘরে প্রবেশ করে। সবজি বিক্রেতার স্ত্রী ঝি এর কাজ করতে অন্যের বাড়িতে চলে গেলে ফাঁকা বাড়িতে ওই দম্পতির ১৭ বছর বয়সী কিশোরী কন্যাকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করেন সুমন। এরপর পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করা, লোক সমাজে ফাঁসিয়ে দেবার কথা বলে মুখ না খুলতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ঘরে সুন্দরী স্ত্রী রেখেও বিভিন্ন সময় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন সুমন।
গ্রেফতার সুমন পাল উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তেলীগাঁও (কৃষ্ণতলা) গ্রামের প্রয়াত ঝুনু পালের ছেলে ও ধনাঢ্য কয়লা ব্যবসায়ী।প্রসঙ্গত ১৩ আগষ্ট ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে সুমন পাল তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে ওই কিশোরী অভিভাবক ও গ্রাম্য সালিসীগণকে অবহিত করেন। এরপর ওই কিশোরীর অন্যত্র সাতপাকে বাঁধার দিনক্ষণ নির্ধারিত থাকলেও সেই বিয়ে ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকায় রফা-দফার মাধ্যমে গোটা বিষয়টি ধামাচাঁপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেন ধনাঢ্য কয়লা ব্যবসায়ী সুমন পাল, তার সহোদর মহান্ত পাল ও পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কিশোরী ও তার দরিদ্র পরিবার টাকায় গরমে নরম না হওয়ায় সেই চেষ্টাও ভেস্তে যায়।
রোববার রাতে গ্রেফতার সুমন পালের বড় ভাই কয়লা ব্যবসায়ী মহান্ত পাল বলেন, বিষয়টি সামাজিক ভাবে ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণে নিষ্পওির চেষ্টা করেছিলাম তা যখন হয়ে উঠেনি তখন আইনি ভাবেই বিষয়টি মোকাবেলা করব।
সম্প্রতি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা নিতে গেলে ওই কিশোরী দুই মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি চিকিৎসকগণ নিশ্চিত করেন।