মা হলেন নুসরাত জাহান
সব বিতর্ক, সব চোখরাঙানি উপেক্ষা করে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নুসরাত। নায়িকার মা হওয়ার প্রহর যত এগিয়েছে ততই চাপা উত্তেজনা ঘিরে ধরেছে অনুরাগীদেরও। অবশেষে মা হলেন নুসরাত। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন যশ দাশগুপ্ত’র বান্ধবী। সারাক্ষণ সঙ্গী নুসরাত জাহানকে আগলে রেখেছিলেন যশ দাশগুপ্ত।
কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন অভিনেত্রী। মা ও সন্তান দুজনই সুস্থ রয়েছেন।সন্তান জন্ম দেয়ার সময় অভিনেত্রীর পাশে ছিলেন তার প্রেমিক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। বুধবার রাতেই যশকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে যান অভিনেত্রী।বেশ কয়েক মাস আগে নুসরাতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
নুসরাত জাহানের হাসপাতালে ভর্তি হওয়াকে ঘিরে বুধবার দিনভর জল্পনা চলেছে। সকালে নায়িকার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে, দুপুরবেলা অভিনেত্রীর সঙ্গী যশ দাশগুপ্ত নিশ্চিত করেন এখনও হাসপাতালে ভর্তি হননি নুসরাত। অবশেষে বুধবার রাতে পার্কস্ট্রিটের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তারকা সাংসদ। এদিন বেলা ১২ থেকে ১টার মধ্যে সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন নুসরাত। ডাক্তার রাজীব আগারওয়ালের তত্ত্বাবধানে সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, এমন সময় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার গুঞ্জন যেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে অভিনেত্রীকে।জুনের মাঝামাঝিতে প্রকাশ্যে আসে অভিনেত্রীর বেবি বাম্পের ছবি। এরপর অনাগত সন্তানের বাবা কে, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলে নেটিজেনদের মধ্যে। নুসরাত এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি।
সাত সকালে ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে হাসপাতাল থেকে ছবিও পোস্ট করেছিলেন নুসরাত। দুৃ-চোখে হবু সন্তানের প্রতীক্ষা। অভিনেত্রীর বার্তা- ‘Faith Over Fear’। হ্যাঁ, ভয় নয় বিশ্বাসের উপরই আস্থা রাখছেন নুসরাত জাহান। সকাল সকাল পজিটিভিটির বার্তা উঠে এল নুসরাতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায়।
চলতি বছরের শুরুতেই প্রকাশ্যে আসে যশ-নুসরাতের প্রেমের গুঞ্জন। ‘বিবাহিতা’ নুসরাতের সঙ্গে যশের প্রেম ও সহবাস নিয়ে টালিউড পাড়ায় চর্চার শেষ ছিল না। তবে জুন মাসে এক বিবৃতি দিয়ে নুসরাত জানান, নিখিল জৈনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ‘অবৈধ’। সেই সম্পর্ককে সহবাসের নাম দিয়ে তিনি জানান, বহু আগেই সেই সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে।