আফগানিস্তানে সংগীত নিষিদ্ধ
আবারও আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে সংগীত। তালেবান বাহিনী মুখে উদারনীতির কথা যতই বলুক না কেন, তারা তাদের নতুন শাসনেও আগের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। বাহিনীর মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ নিউইয়র্ক টাইমসকে এ তথ্য জানায় বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ইসলামে সঙ্গীত হারাম। তাই তাদের এরকম সিদ্ধান্ত। তবে তিনি আশা করছেন, জোর করে নয় বরং স্বপ্রণোদিতভাবেই মানুষ যেনো গান এড়িয়ে চলে সে ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।এর আগে, ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত পাঁচ বছর আফগানিস্তানে তালেবান শাসন চলাকালীন সঙ্গীত, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। আইন অমান্যকারীদের ভয়াবহ শাস্তির মুখে পড়তে হত।
কিন্তু ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে তালেবান উৎখাত হলে দেশটিতে সংগীতচর্চার ব্যাপক প্রসার ঘটে। সেখানে প্রচুর কনসার্ট ও উৎসব হতো। এমনকি আফগানিস্তানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মিউজিক প্রতিষ্ঠা হয়, সেখানে নানা অনুষ্ঠানও উদ্যাপন করা হয়।পাশাপাশি দেশটির সব নারী অর্কেস্ট্রা দেশে ও বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তালেবান মুখপাত্র দাবি করছেন, নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ভিত্তিহীন।
তিনি বলেছেন, নারীদের বাড়িতে থাকতে হবে না বা সব সময় মুখ ঢেকেও রাখতে হবে না। তিন দিন বা তার বেশি ভ্রমণে পুরুষ আত্মীয়ের তত্ত্বাবধানের বিষয়ও থাকবে না। নারীরা ধীরে ধীরে তাদের দৈনন্দিন রুটিনে ফিরতে পারবেন।তিনি বলেন, নারীদের যদি স্কুল-অফিস-বিশ্ববিদ্যালয়-হাসপাতালে যেতে হয় তাহলে তাদের সঙ্গে পুরুষ আত্মীয়ের (মাহরাম) থাকার দরকার নাই।
গত মঙ্গলবার জাবিউল্লাহ যথাযথ নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত সুরক্ষার খাতিরে নারীদের বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেন। কারণ হিসেবে তালেবান মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আমাদের নতুন সদস্যদের নিয়ে চিন্তিত। তাঁরা এখনো সুপ্রশিক্ষিত নন। তাই তাঁরা নারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বসতে পারেন।’