পরীমণিদের ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও সরানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট
কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া, জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ন করে এমন সব ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে আদালতে রিট আবেদন করা হয়েছে। এ ধরনের ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন ছড়ানো বন্ধের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
মুনিয়া, সাবরিনা ও পরীমণিকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব এবং তথ্যসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তি, বিশেষ করে নারীর চরিত্র লক্ষ্য করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন করে অনেক প্রতিবেদন, ছবি, ভিডিও প্রচার-প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরীমনিকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ভিডিও বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। মুনিয়ার মৃত্যুর পর তার বোন যখন অভিযোগ করল, তখন তার বেডরুমের ভিডিও ভাইরাল হয়। করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় সাবরিনা চৌধুরীকে আটকের পর তার ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও প্রচার-প্রকাশ করা হয়। এতে ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। এসব প্রচার-প্রকাশ বিদ্যমান আইন ও সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১, ৩২, ৩৯ ও ৪৪ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। কেননা ওই সব ছবি ও ভিডিও সংশ্লিষ্ট ঘটনা–সম্পর্কিত নয়।’
এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ না দেখে রিট আবেদনটি করেছেন বলে জানান তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ। তার ভাষ্যমতে, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, মূলধারার সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তি, বিশেষ করে নারীর সম্পর্ক, ব্যক্তিজীবন ও চরিত্র নিয়ে অপমানজনক প্রতিবেদন, ভিডিও, ছবি প্রচার-প্রকাশ করা হচ্ছে। বিষয়টি নারীর ক্ষমতায়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়নকে পেছনে টেনে ধরছে। এসব প্রতিবেদন, ভিডিও, ছবি ডিজিটাল নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।