গুপ্তধনের আশায় জ্বীনের বাদশার খপ্পরে

গুপ্তধনের আশায় জিনের বাদশার খপ্পরে পড়ে ময়মনসিংহ থেকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যাওয়ার পথে এক মাদরাসাছাত্রীকে উদ্ধার করেছে বগুড়ার শাজাহানপুর থানা পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে রংপুরগামী ‘বাহন পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ছাত্রীর অবস্থান শনাক্ত করে তাকে বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানা থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তাকে ফুলপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

স্কুলছাত্রীর বড়ভাই জানান, গত দুই দিন ধরে কথিত ‘জিনের বাদশা’ পরিচয়ে তার ছোট বোনকে ফোন করে পরিবারের মা, বাবা, ভাই, বোনসহ হুবহু বিবরণ দিয়ে বিশ্বাস জোগায়। এরপর গুপ্তধনের প্রলোভন দেখায় এবং পরিবারের কাউকে কিছু না বলে একাই গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে আসতে বলে। সেখান থেকে তাকে পলাশবাড়ী নিয়ে গিয়ে গুপ্তধন দেওয়ার কথা বলা হয়। কাউকে কিছু বললে মা, প্রতিবন্ধী ভাইসহ পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত ওই ছাত্রী ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার দিউ গ্রামের বাসিন্দা। সে স্থানীয় একটি মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী।তার ভাই আরও জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে মাদরাসা থেকে অ্যাসাইনমেন্ট আনা কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় মেয়েটি। সময়মত বাড়িতে না পৌঁছলে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়।

এদিকে, ময়মনসিংহ ফুলপুর থানার এসআই জাহিদ জানান, স্কুলছাত্রী নিখোঁজের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করে। পরে বগুড়ার শাজাহানপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মেয়েটিকে উদ্ধারের পর তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরে মেয়েটিকে স্বজনদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিকটিমকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের ধারণা, মেয়েটিকে পাচারে উদ্দেশে নেওয়া হচ্ছিল।’

শাজাহানপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি বাসযোগে ময়মনসিংহ থেকে গাইবান্ধা পলাশবাড়ি যাচ্ছিল। বাসের মেয়েটির একাধিকবার ফোন আসছিল। মেয়েটি ফোনে কথা বলার সময় তার পাশে বসা যাত্রীদের সন্দেহ হয়। মেয়েটির পরিচয় জানতে চাইলে, অসংলগ্ন কথা বলে। তখন পুলিশকে বিষয়টি জানালে রাত ৯টার দিকে শাজাহানপুর থানা এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

Exit mobile version