বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। চট্টগ্রাম-১১ পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য তিনি।
বুধবার (১৮ আগস্ট) পটিয়ার যুগ্ম জেলা জজ মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। সামশুল হকের পক্ষে মামলাটি রুজু করেন পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট দীপক কুমার শীল। তিনি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
অভিযোগ, সামসুল হক চৌধুরী ও তার পুত্র চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন মিডিয়া দৈনিক কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান, বাংলানিউজ২৪.কম এবং টিভি চ্যানেল নিউজ ২৪ এর অব্যাহতভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক কুরুচিপূর্ণ, বিদ্বেষপ্রসূত এবং মালিকের নির্দেশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগে ১৮ আগস্ট বুধবার পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য মানহানি মামলা দায়ের করেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি।হুইপের পক্ষে এ মামলা রুজু করেন পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট দীপক কুমার শীল।
মামলার বিবাদীরা হলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহআলম, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও নিউজ-২৪ এর সিইও নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সান সম্পাদক ইনামুল হক চৌধুরী, বাংলানিউজের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টার সাইদুর রহমান রিমন, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, কালের কণ্ঠের রিপোর্টার এস এম রানা, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মোহাম্মদ সেলিম।
হুইপের পক্ষের আইনজীবী ও পটিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট দীপক কুমার শীল বলেন, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি রেকর্ড করার পর আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শুনানি দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন।
শারুন চৌধুরীও তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান যে, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রত্যেক মানুষেরই কিংবা গণমাধ্যমের একটি সহজাত অধিকার। কিন্তু এই মত প্রকাশ যখন হয় পত্রিকা মালিকের নিজস্ব ক্ষোভের প্রতিফলন এবং অন্যকে হেয় করবার বিশেষ মাধ্যম তখন আর সেটি মত প্রকাশ হিসেবে থাকে না। তখন এটি হয়ে ওঠে বিদ্বেষপূর্ণ এজেন্ডা বাস্তবায়ন।’
একাধারে মিথ্যা মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে মামলার বাদী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন এবং ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।