অপরাধআইন-আদালতএক্সক্লুসিভ

সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ২৩ আগস্ট

আলোচিত  মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মোহাম্মদ ইসমাইল এ দিন ধার্য করেন।সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল ইসলাম।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেক পোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় ৫ অগাস্ট তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের নয় সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলার তদন্তভার দেয় র‌্যাবকে।

তিনি বলেন, এর আগে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ থাকলেও লকডাউনের কারণে তা পিছিয়ে যায়।হত্যার আগে ‘গোপন বৈঠকে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার তাকে হত্যার মূল পরিকল্পনা করে’ বলেও তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানায় র‌্যাব।

মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় সব মিলিয়ে মোটি ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের নির্দেশনায় সব গুলো মামলার তদন্ত করে র‍্যাব।এর মধ্যে একটি মামলা টেকনাফ থানায় মাদক সংক্রান্ত যা শহীদুল ইসলাম সিফাতকে আসামী করা হয়, পুলিশ ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মেজর সিনহা এবং সিফাতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আরেকটি মামলা রামু থানায় শিপ্রা দেবনাথকে আসামী করে দায়ের করা হয়। এই মামলা তিনটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দেয়া হয়েছে। সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এবং মামলার স্বপক্ষে কোন সাক্ষী প্রমাণ না থাকায় তাদের দায়মুক্তি দেয়ার জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।চার নম্বর মামলাটি সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন টেকনাফ আদালতে দায়ের করেন যা র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের মামলা র‍্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম তদন্ত করেন। চার মাস ১০ দিন সময় নিয়ে এই মামলার তদন্ত করে এরইমধ্যে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। এতে সর্বমোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জন টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্য, ০৩ জন এপিবি এর সদস্য এবং ০৩ জন বেসামরিক ব্যক্তি।

Back to top button