‘রজনীগন্ধা’য় কেমন আছেন পরীমণি।একদম নীরব হয়ে গেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়িকা পরীমণি। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের রজনীগন্ধা ভবনে হোম কোয়ারেন্টাইন আছেন তিনি। চিন্তিত সময় কাটাচ্ছেন আলোচিত এ নায়িকা।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, পরীমণিকে কারাগারে চিন্তামগ্ন দেখা যাচ্ছে। তবে তিনি স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন। অন্য বন্দিদের জন্য যেসব খাবার, পরীমণির জন্যও সেসবই দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই পরীমণির কোয়ারেন্টাইনের দুইদিন চলে গেছে।
পরীমণিকে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। গত দুইদিন পরীমণি স্বাভাবিক ও সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর তার করোনা পরীক্ষা করা হবে। এতে করোনা শনাক্ত না হলে সাধারণ হাজতির মতোই তাকেও রাখা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
পরীমনির খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্দুল জলিল বলেন, ‘তিনি এখনও কোনো ডিভিশন পাননি, সাধারণ বন্দি হিসেবেই আমাদের এখানে এসেছেন। তাই সাধারণ বন্দিদের মেন্যু ফলো করা হচ্ছে।’সিনিয়র এই জেল সুপার জানান, সাধারণ বন্দিদের জন্য সকালের খাবার হিসেবে দেয়া হয় রুটি বা পাউরুটি, চিনি বা গুড়, ডাল, দুধ, ডিম, জেলি বা মাখন, কলা ও চা।দুপুরের খাবার হিসেবে দেয়া হয় ভাত কিংবা রুটি, মাছ বা মাংস, শাকসবজি ও ডাল এবং রাতের খাবার হিসেবে দেয়া ভাত বা রুটি, মাছ বা মাংস, শাকসবজি ও ডাল।
পরীমনি কোনো প্রয়োজনীয় জিনিস চাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে আব্দুল জলিল বলেন, ‘তিনি কারাবিধি অনুযায়ী যা যা পাবার কথা সব সুবিধাই পাচ্ছেন। এর বাইরে যাবার কোনো সুযোগ নেই। বিধির বাইরে কিছু চাইলেও পাবেন না।’
কারাগারে আসার পর পরীমনির সঙ্গে পরিবার ও স্বজনদের দেখা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে আব্দুল জলিল বলেন, ‘করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে আমাদের এখানে নতুন বন্দি এলে ১৪ দিন কারও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ নেই। তাই এখন তার পরিবারের সদস্যরা হয়তো আসতে পারেন, কিন্তু দেখা করা যাবে না।’
গত ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করা হয়। এসময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করেন র্যারপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব) সদস্যরা। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়। দুই দফা রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।