কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন আজ

ব্যান্ড তারকা ও গিটার লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন আজ। বেঁচে থাকলে আজ ৫৯ বছর পূর্ণ করতেন তিনি। মৃত্যুর পর এটি তার তৃতীয় জন্মদিন। তিনি না থাকলেও তার রেখে যাওয়া অগণিত ভক্ত-অনুরাগীরা আজ তাকে স্মরণ করছেন, তার জন্মদিনে নিজেদের মতো করে উদযাপন করছেন। 

২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছিলেন গিটারের জাদুকর আইয়ুব বাচ্চু। ক্যালেন্ডারের পাতায় যদি সেই দিনটি না থাকত, ১৮ অক্টোবর ২০১৮? এখনো তিনি শ্রোতাদের অন্তরে ফেলে যাওয়া রুপালি গিটারের কাব্যময়তার প্রতীক হয়ে আছেন।

প্রায় তিন যুগের ক্যারিয়ারে আইয়ুব বাচ্চু উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। নব্বই দশকে ব্যান্ড সংগীতের জোয়ারে তারণ্যকে ভাসিয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর ব্যান্ড এলআরবি। ফেরারি মন, চলো বদলে যাই, এখন অনেক রাত, হকার, আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি, কষ্ট পেতে ভালোবাসি এবং রূপালী গিটারসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা আইয়ুব বাচ্চু। তারকা খ্যাতির তুঙ্গে অবস্থান করলেও তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার মধ্যে।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে জন্মেছিলেন তিনি। তার বাবা ইশহাক চৌধুরী এবং মা নুরজাহান বেগম। বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রামের ছেলে বাচ্চু পপগুরু আজম খানকে অনুসরন করে হাল ধরেন বাংলা রক মিউজিকের। রক সংগীতকে বাংলার গণমানুষের গানে পরিণত করায় ভক্তদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন ‘বস’ উপাধি। কলেজে জীবনে বন্ধুদের নিয়ে গোল্ডেন বয়েজ নামে একটা ব্যান্ডদল গড়ে তোলেছিলেন। সেটাই ছিলো আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রথম যাত্রা।  ১৯৮০ সালে তিনি যোগ দেন তৎকালীন তুমুল জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস-এ। এই ব্যান্ডের লিডগিটারিস্ট হিসেবে আলো ছড়িয়েছেন টানা ১০ বছর। ১৯৯১ সালে সোলস ছেড়ে দিয়ে ওই বছরের ৫ এপ্রিল গড়ে তোলেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি।

শ্রোতা-ভক্তদের কাছে ‘এবি’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি।  তাদের পরিবার ছিল একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার। পরিবারের নিষেধ সত্ত্বেও গানের প্রতি ভালোবাসা থেকে দেশ জয় করেছেন। বাংলা ব্যান্ড সংগীত নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মাতিয়েছেন তিনি।আইয়ুব বাচ্চু চলে গেছেন, কিন্তু রেখে গেছেন অনেক অমর সৃষ্টি। যে সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

আইয়ুব বাচ্চুর কণ্ঠ দেয়া প্রথম গান হারানো বিকেলের গল্প। আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম রক্তগোলাপ। তার সফলতার শুরু দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’র মধ্য দিয়ে। তিনি বেশ কিছু বাংলা ছবিতে প্লেব্যাকও করেছেন। ‘আম্মাজান’, ‘একঝাঁক পাখি উড়ে আকাশে’, ‘স্বাগরিকা’ ইত্যাদি গানগুলো তাকে সারাদেশের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছিলো।

Exit mobile version