অপরাধআইন-আদালতবিনোদন

আদালত প্রাঙ্গণে পরীমনি’র নানা

আদালত প্রাঙ্গণে পরীমনি’র নানা। চার দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে আজ আবার আদালতে তোলা হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়।চলতি সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দেখতে এই প্রথম তার পরিবারের কোনো সদস্য আদালতে প্রাঙ্গণে এসেছেন। মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায় তার নানা শামসুল হককে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌঁছান শামসুল হক।পরীমনি, তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু, প্রযোজক রাজ এবং তার ব্যবস্থাপক সবুজ আলীকে মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয় থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার হাকিম আদালত থেকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত জনতার সামনে পরীমণি দাবি করেন, তিনি নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা শতভাগ মিথ্যা। সাংবাদিক, আপনারা কী করছেন?’

তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

গত বুধবার বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যান র‍্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র‍্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র‍্যাব।

আদালত প্রাঙ্গণে নানা শামসুল হক ছাড়া পরীমনির আর কোনো আত্মীয়কে দেখা যায়নি। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাতনিতে দেখার জন্য সকালে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছেন তিনি।

আদালতে শুনানির সময় অবশ্য পরীমনির নানা শামসুল হক গাজী অন্য কক্ষে ছিলেন। তার সঙ্গে পরীমনির দেখা হয়নি। ঢাকার বনানীর বাসায় পরীমনির সঙ্গেই থাকতেন শামসুল হক গাজী। আদালত প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পরীমনি নিজের জন্য জীবনে কিছুই করেনি। সব মানুষের জন্য সে দান করেছে। আর এখন পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেছে। র‌্যাবের অভিযানের দিন শামসুল হক গাজীও বনানীর ওই বাসায় ছিলেন। বাসা থেকে মাদক উদ্ধারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, খালি বোতল ছিল। এখন সেগুলো মাদকের বোতল নাকি কিসের বোতল জানি না। বাবা-মাকে হারানোর পর পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার সিংহখালী গ্রামে নানাবাড়িতেই তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে।

নানা শামসুল হক এক সময় স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পরে পরীমনির সঙ্গে তিনিও ঢাকায় চলে আসেন। পরীমনির মুক্তি দাবি করে তার নানা বলেন, নিজে একটা ফ্ল্যাট করে নাই, কিছু করে নাই। এফডিসিতে প্রত্যেক বছরে গরীবদের জন্য গরু কোরবানি দেয়। নিজে কিছু করে নাই, সে সব মানুষের জন্য বিলিয়ে দেয়। আল্লাহ পাক যদি ওরে মাফ করে আর কি। তিনি বলেন, মেয়েটার বাপ মা কেউ নাই। আমার কাছেই বড় হয়েছে, মানুষ হয়েছে। ওর জন্য দুশ্চিন্তায় আমার ঘুম হয় না। কেউ নেই ওকে দেখার জন্য। আমার নিজেরও কিছুদিন আগে অপারেশন হয়েছে। এখনো আমি অসুস্থ। তাকে কতদিন দেখি না। তাই বাধ্য হয়েই এখানে এসেছি।

Back to top button