মসজিদের বারান্দায় টিকটক বানানো সেই যুবক গ্রেফতার।কুমিল্লা দাউদকান্দির মডেল মসজিদে হিন্দি গানের সাথে টিকটক ভিডিও করার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক যুবকের নাম ইয়াছিন (২০)। তার বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী এলাকায়। জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী থেকে শনিবার (৭ আগস্ট) রাতে তাকে আটক করা হয়।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রোববার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ জানান, গত ২৭ জুলাই কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সেন্টারের বারান্দায় টিকটক ভিডিও নির্মাণ করে ইয়াছিন ও তার সহযোগীরা। ওই ভিডিও ডিডব্লিউ ইয়াছিন ও @ইয়ামিয়া০০৮ নামের দুইটি লাইকি আইডি থেকে আপলোড করা হয়। যা অল্প সময়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযান পরিচালনাকারী কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশ জানান, মসজিদে টিকটক ভিডিও তৈরিকারীকে তার বাসা থেকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। রবিবার গ্রেফতার ইয়াছিনকে আদালতে নিলে বিচারক গোলাম মাহবুব খান তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
পুলিশ সুপার জানান, মসজিদের বারান্দায় ভিডিও দেখে সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হওয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্ম নেয়। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে মসজিদের বারান্দায় টিকটক ভিডিও করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধে ভিডিও নির্মাতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে রোববার দিবাগত রাতে টিকটক নির্মাতা ইয়াছিনের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নির্মিত জেলার প্রথম মডেল মসজিদের বারান্দায় টিকটক ভিডিও বানানোর অভিযোগ ওঠে দুই তরুণ ও তরুণীর বিরুদ্ধে। তাদের ধারণ করা ভিডিওটি পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মুসল্লিরা জানান, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নান্দনিক অবয়বের একটি মসজিদ উপহার দিয়েছেন দাউদকান্দিবাসীকে। ওই মসজিদের বারান্দায় ও আঙিনায় অচেনা দুই তরুণ-তরুণী টিকটক ভিডিও বানিয়ে নেতিবাচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয়। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ মসজিদের বারান্দায় এসব নোংরামি মানসিকতার পরিচয় দিয়ে টিকটক করতে পারে না। যারা এ কর্মকাণ্ড করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
গ্ৰেফতারের পর ইয়াছিন মসজিদের বারান্দায় টিকটক ভিডিও নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার। ইয়াছিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।