ডিবি কর্মকর্তার সাথে ১৮ ঘণ্টা সময় কাটান পরীমণি। এবার চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে নাম জড়াল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েনের। সম্প্রতি ঢাকার অদূরে তুরাগতীরে বহুল আলোচিত বোট ক্লাব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন সাকলায়েন। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চলার সময় নায়িকা পরীমণির সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।পরীমণি নিজেই সে কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৩ জুন ঢাকা বোটক্লাবে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ আনেন চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি।এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তের সূত্রে এই নায়িকার সঙ্গে পরিচয় গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েনের। এরই সূত্র ধরে শুরু হয় প্রেম-প্রণয়।
দুই মাস না যেতেই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। বাসা থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সেই পরীমণি এবার আসামি হয়ে ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।জানা যায়, আগের মামলা তদন্তের সূত্রে পরিচয় থেকে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে প্রেমে জড়ান পরীমণি।এরই মধ্যে পরীমণি রিমান্ডে অকপটে জানিয়েছেন এই সম্পর্কের কথা।
এরই মধ্যে পরীমণি-সাকলায়েনকে নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, রাজাবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের গেটের সামনে ১ আগস্ট সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে একটি সাদা গাড়ি এসে থামে। লাল রংয়ের টি-শার্ট পরিহিত একজন প্রথমে নামেন। এরপর কোলে একটি কুকুরসহ সাদা রংয়ের জামা পরে নামেন নায়িকা পরীমণি।এর আগেও হাতিরঝিল এলাকায় একই গাড়িতে তারা দুজন সময় কাটিয়েছেন, ঘোরাঘুরি করেছেন।
পরীমণির সহযোগী দীপু জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমণির প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতেন বলে জানিয়েছেন।দীপু দাবি করেন, ঈদের সময় পরীমণির বাসায় গিয়ে গোলাম সাকলায়েন তিনদিন ছিলেন। পরীমণিই তাকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে গোলাম সাকলায়েন নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেন। পরে সাকলায়েন বিবাহিত জানতে পারলে পরীমণি ক্ষুব্ধ হন। এ সময় গোলাম সাকলায়েন তার ডিভোর্স হয়ে গেছে বলে দাবি করেন।
জানা গেছে, গোলাম সাকলায়েন বিবাহিত এবং তার স্ত্রী প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা, তাদের একটি সন্তানও রয়েছে।ডিবির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, ‘এ বিষয়ে গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে এখনো কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি করা হতে পারে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
ঘটনা জানাজানির পর প্রাথমিক তদন্তে সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমণির সরকারি ফ্ল্যাটে প্রবেশ এবং দীর্ঘ সময় অবস্থানের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ । তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি গোয়েন্দা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।পরীমণির সাথে সাকলাইনের কোনো গোপন ব্যবসা বা অনৈতিক সম্পর্ক থাকে সিআইডি সেটা তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছে সিআইডি ।
গোলাম সাকলায়েন পরীমণির সঙ্গে সম্পর্ক এবং সরকারি বাসায় প্রবেশের বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার না করে বলেন, মামলাটির চার্জশিট জমা দেয়ার পর, পরীমণি কেনো যেকোনো কারো সঙ্গে সম্পর্ক চলাফেরার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে কোনো কোনো মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।