পাকিস্তানে ঋণ সামলাতে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িও ভাড়া

পাকিস্তানে ঋণ সামলাতে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িও ভাড়া।সরকারি কোষাগার প্রায় শূন্য। তাই পাকিস্তানে চলমান আর্থিক সংকট ঘোচাতে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাসভবন।এত খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের ? এতটাই খারাপ পরিস্থিতি যে টাকা তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ভাড়া  দিতে হচ্ছে? এমনই ঘটনা ঘটতে চলেছে। দেশে চলা আর্থিক দুরবস্থাই এর জন্য দায়ি বলে জানাচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

ঋণের বোঝায় নুয়ে পড়েছে পাকিস্তান। এরইমধ্যে গত তিন বছর ধরে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) হ্রাস পাচ্ছে। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দেশটির জিডিপি কমে গেছে ১৯ বিলিয়ন ডলার। ফলে বৈদেশিক ঋণের দায় পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে ইসলামাবাদ।  তবে সূত্রের খবর, ওই বাসভবনে ইমরান খান থাকেন না। তিনি ২০১৯ সালেই এই বাড়ি খালি করে দিয়েছিলেন। শাসক দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ ২০১৯ সালেই জানিয়ে ছিল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হবে। তারপরেই বাসভবন ছেড়ে দেন ইমরান। তিনি বর্তমানে বানি গালার বাড়িতে থাকেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর অফিস ব্যবহার করেন। 

পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী বিশাল বাসভবনে নিয়মিত থাকলে ব্যয়ভার সামাল দেওয়া সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ২০১৯ সালে এ বাড়ি ছেড়ে দেন ইমরান খান। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের প্রস্তাব উঠেছিল। তবে ওই প্রস্তাব আর বাস্তবায়ন হয়নি। এবার নতুন প্রস্তাব দিলেন ইমরান খান নিজে।এখন থেকে যে কেউ চাইলে প্রধানমন্ত্রীর এ বিশাল সরকারি বাসভবন ভাড়া নিতে পারবে। টাকা খরচ করলে বিয়ে, জন্মদিন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফ্যাশন শো, শিক্ষা বা ধর্মীয় সংক্রান্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে এ বাড়িতে। 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের অডিটোরিয়াম, দুটি অতিথিশালা, বাগানের অংশটি ভাড়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অবস্থিত কার্যালয়টি আন্তর্জাতিক মানের সেমিনারের জন্য ব্যবহার করা হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় বসার তিন বছরের মাথায় দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে শুরু করেছে। এ সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।

অথচ তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সরকারি নানা খাতের খরচ কমানোর চেষ্টা করছিলেন। এ লক্ষ্যে তিনি বহু কঠোর উদ্যোগও নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল এর আগে এক অনুষ্ঠানে অভিযোগের সুরে বলেছিলেন, ‘ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার পাকিস্তানের অর্থনীতি নিয়ে খেলছে।’ দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সরকারের ঋণের বেড়ে গেছে অনেক।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাস শেষে দেশটির মোট ঋণ ও দায়ের পরিমাণ ছিল ৪৫.৪৭০ ট্রিলিয়ন রুপি।

Exit mobile version