চীনের সিনোফার্ম থেকে সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা কিনছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে দেড় কোটি ডোজ টিকার দাম পরিশোধ করা হয়েছে, বাকিটা প্রক্রিয়াধীন। গতকাল বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান। বলেন, বিস্তারিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। তবে এটা আমি ক্রসচেক করেই বলছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এই মুহূর্তে এক কোটি ৩০ লাখ টিকার মজুত রয়েছে। এরমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য কিছু টিকা আলাদা করে রাখতে হবে। আগামী ৩০ দিনে মোটামুটিভাবে আরও এক কোটি টিকা আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দিবে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশকে টিকা দিতে বৈশ্বিক উদ্যোগ—কোভ্যাক্সের মাধ্যমে চলতি মাসে ৪৪ লাখ টিকা দেশে আসবে। এর মধ্যে আগামী সপ্তাহে আসছে সিনোফার্মের ৩৪ লাখ ডোজ। আর এ মাসের মধ্যে আসবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা। এ ছাড়া আগামী মাসে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা আসবে।
ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি আজকেও কথা বলেছি, রি-অ্যাসুরেন্স নিয়েছি যে টিকা পাচ্ছি আমরা। তাছাড়া ভারতও আমাদের বলেছে, তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, প্রোডাকশনও বাড়ছে। বাণিজ্য চুক্তির আওতায় ভারত থেকে টিকা পাওয়ার যে অঙ্গীকার রয়েছে সেটিও পূর্ণ হবে আশা করে মন্ত্রী বলেন, টিকার সরবরাহ ঠিক রাখতে ফেজ ওয়াইজ আমরা যাচ্ছি। কোনো সংকট নেই। চলতি মাসে বিভিন্ন উৎস থেকে কেনা টিকাও দেশে আসবে। তবে মন্ত্রী এটা জোর দিয়ে বলেন, আমি মনে করি আমাদের কো-প্রোডাকশনে যেতে হবে। কারণ সবকিছু ঠিক করার পর প্রোডাকশনে যেতে ৬-৮ সপ্তাহ সময় লাগে।