নেটিজেনদের তোপের মুখে অনন্ত জলিল।দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে কঠোর লকডাউন চলছে। এর মধ্যেই আগামীকাল থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল তার শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং শ্রমিকদের আগামীকাল থেকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ফেসবুকের মাধ্যমে।এরপরই নানা ধরনের প্রশ্নের তোপের মুখে পড়েন এই চিত্রনায়ক। অধিকাংশের ভাষ্য- গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গ্রাম থেকে কীভাবে আসবে শ্রমিকরা?
সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছে সারা দেশের মানুষ। কেননা লকডাউনে সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকায় এক দিনের নোটিশে কিভাবে এতো মানুষ ঢাকায় ফিরবেন? তাই অধিকাংশ নেটিজেনের ভাষ্য- গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গ্রাম থেকে কীভাবে আসবে শ্রমিকরা?এদিকে, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে ঢাকামুখী কর্মীদের অসহায়ভাবে ফেরার চিত্র।
ফেসবুক পোস্টে অনন্ত লিখেছেন, “এতদ্বারা এ.জে.আই গ্রুপ ও এ.বি গ্রুপে কর্মরত সকল কর্মকর্তা এবং শ্রমিক ভাই বোনদের উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, আগামী ১ আগষ্ট থেকে আমাদের ফ্যাক্টরি সম্পূর্ণভাবে খোলা থাকবে। তাই সবাইকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো, কেউ যেন অনুপস্থিত না থাকে।”তার এই স্ট্যাটাসে মাহবুব নামে একজন লিখেছেন, ‘শিল্পকারখানা খুলবে ১ তারিখে আর লকডাউন ৫ তারিখ পর্যন্ত। তবে গ্রামে আটকা পড়া শ্রমিকরা কি স্পেসশিপে করে ঢাকায় পৌঁছাবে?’
ফেসবুকে অনন্ত জলিলের পোস্টে ফাতেমা তিথি কমেন্টে লিখেছেন: ‘আপনি সবসময় বলেন আপনি শ্রমিক বান্ধব- এই তার নমুনা? আপনার সিনেমায় যেমন ক্ষমতা থাকে শ্রমিকদের তো তা নেই, একটাবার চিন্তা করলেন না, গণপরিবহন না চললে কীভাবে তারা ফিরবে? শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলুন, নয়তো গণপরিবহন চালুর ব্যবস্থা করুন।’ফাহিম মোর্শেদ ইভান লিখেছেন: ‘স্যার, কারখানা ‘The Factory’ তে আসার জন্য গাড়ী ‘The Car’ দেবেন না?’গাজী মোমিনা লিখেছেন, ‘অনন্ত সাহেব, সারাদেশে লকডাউন আপনার কি জানা নাই? লকডাউন উপেক্ষা করে শ্রমিকগণ কি করে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকবে আপনার কি সেই সাধারণ জ্ঞানটুকুও নাই? শ্রমিকদের কি আপনার মানুষ বলে মনে হয় না? তাদের জীবন কি জীবন নয়? একটু বিবেচনাবোধ রাখা উচিত আপনাদের মতো মালিকদের।’আরিফুল ইসলাম মুরাদ লিখেছেন, ‘৫ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন রেখে ১ তারিখে শ্রমিকদেরকে ফ্যাক্টরিতে হাজির হতে বলাটা কোন ধরনের বুদ্ধিমত্তার প্রকাশ তা আমার মাথায় খেলছে না!’
ক্ষুব্ধ হয়ে শামীম ওসমান নামে একজন মন্তব্য করেছেন, “স্যার, বেয়াদবি মাফ করবেন। আপনারা ফ্যাক্টরি খোলার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে দিনের পর দিন দৌড়া-দৌড়ী করেছেন। অথচ শ্রমিকদের যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যাপারে কোনও ধরনের সুপারিশ করেননি। আপনারা নোটিশ দিচ্ছেন কেউ যেন অনুপস্থিত না থাকে।”যদিও এরকম অসংখ্য মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অনন্ত জলিল কোনও মন্তব্য করেননি।