৪টি উপায়ে শিশুকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলুন।পরিবারের সবচেয়ে ছোট মানুষটি কিভাবে বেড়ে উঠবে তাই নিয়ে ভাবতে ভাবতেই সবার দিন শেষ হয়ে যায়। সে কেমন মানুষ হবে, তার অভ্যাস গুলো কেমন হবে, সে নিজের কাজ নিজে ঠিক মত করতে পারবে কিনা- এসব নিয়ে চিন্তা ভাবনার যেন শেষ নেই কোনো। ছোট একটি শিশুকে তো সবকিছুই শিখিয়ে দিতে হয়। আর ছোটবেলা থেকেই শিখিয়ে দিতে হয় এমন একটি বিষয় হলো স্বাস্থ্যসচেতনতা। স্বাস্থ্য সচেতনতা এমন একটি বিষয় যা ছোট বেলাতেই তৈরি করে না দিলে সারাজীবন সমস্যায় পড়তে হয়। আসুন জেনে নেয়া যাক শিশুকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলার ৪টি উপায়।
পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিনঃনিয়মিত গোসল করা, নখ কাটা, চুল শ্যাম্পু করা, কিংবা খাওয়ার আগে হাত ধোয়া মানুষের স্বাভাবিক পরিচ্ছন্নতার অংশ। আপনার ছোট শিশুটিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিন। অপরিচ্ছন্ন থাকলে কী কী সমস্যা হতে পারে সেগুলোও জানিয়ে দিন তাকে। এবং আস্তে আস্তে তাকে অভ্যাস করার নিজে নিজেই এসব কাজ সেরে নিতে। তাহলে আপনার শিশুটি একটি স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠবে।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানঃশিশুকে ছোট বেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান। যে খাবার গুলো শিশুর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কের জন্য ভালো সেগুলো ছোটবেলাতেই খাওয়ানোর অভ্যাস করালে পরবর্তিতেও শিশুরা স্বাস্থ্যকর খাবার খেতেই ভালোবাসে। এছাড়াও গল্পের ছলে প্রতিটি খাবারের স্বাস্হ্য উপকারিতা ও গুনাগুণ জানিয়ে দিন শিশুকে। খাবারের অস্বাস্থ্যকর খাবার এর ক্ষতিকর দিকগুলোও জানিয়ে দিন তাকে। তাহলে শিশুরা স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে বেড়ে উঠবে।
অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে রাখুন।
অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে রাখুনঃরাস্তার ধুলোবালি পড়া খাবার, ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, রঙ দেয়া খাবার, অস্বাস্থ্যকর আইসক্রিম ইত্যাদির প্রতি শিশুদের আগ্রহ সবসময়েই বেশি থাকে। আর এই কারণেই এই সব খাবারের প্রতি শিশুর আগ্রহকে প্রশ্রয় দেয়া উচিত না। শিশুরা এ ধরণের খাবারের জন্য যতই জেদ ধরুক বা কান্নাকাটি করুক না কেন, কোনো ভাবেই এসব খাবার দেয়া উচিত না তাকে। কারণ একবার সব খাবারের স্বাদে অভ্যস্ত হয়ে গেলে স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি শিশুরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
ব্যায়ামঃ ছোট বেলাতেই শিশুকে খেলার ছলে ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে দিন। নিয়মিত খেলাধুলা, দৌড়-ঝাঁপের মাধ্যমে শিশুর শরীরের রক্ত চলাচল ভালো হয়, শিশুরা থাকে সুস্থ ও সবল। নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা করলে মস্তিষ্কও ভালো থাকে। শিশুদেরকে ব্যায়ামের উপকারিতা গুলো জানিয়ে দিন। তাদেরকে বলুন প্রতিদিনই হালকা ধরণের শারীরিক শ্রমের অভ্যাস করতে। তাহলে বড় হওয়ার পরেও তার মধ্যে এই অভ্যাস থেকে যাবে এবং সে একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠবে।