মিজোরাম-আসাম সীমান্তে সংঘর্ষ : নিহত ৬ পুলিশ।ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও মিজোরামের সীমান্ত এলাকায় জনতা-পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। নিহত হয়েছেন আসাম পুলিশের ছয় সদস্য। এ নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছেন প্রতিবেশী দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। পাল্টাপাল্টি টুইট করেছেন তাঁরা । তাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানানো হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, আসামের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মিজোরামের সঙ্গে সীমানায় ওই সংঘর্ষে আসামের ছয় পুলিশের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া সংঘর্ষে আরও ৬৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।দুদিন আগেই অমিত শাহ মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে গিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর আজ সোমবার সকালে সংঘর্ষ বাধে আসাম ও মিজোরামের সীমান্তে। আসামের চাঁচর জেলা ও মিজোরামের কোলাসিব জেলার স্থানীয় লোকজন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। পাল্টাপাল্টি হামলায় মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ। এ সময় হামলা হয় সরকারি গাড়িতে। চলে গুলি। তবে কে বা কারা এ সময় গুলি চালিয়েছে, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোমবার আসামের চাচর জেলায় মিজোরাম সীমান্তবর্তী লায়লাপুর এলাকার দখল নিয়ে বিরোধ বাধে দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের। বিরোধ গড়িয়েছে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যেও। টুইট করে তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে বিচার চেয়েছেন।দুই রাজ্যের পুলিশ বলছে, আসাম ও মিজোরামের সীমান্তবর্তী লায়লাপুর অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে উভয় রাজ্য। মিজোরামের বাসিন্দারা লায়লাপুরের জমি অবৈধভাবে দখল ও আসামের স্থানীয় অধিবাসীদের উচ্ছেদ করছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ আসে আসাম রাজ্য প্রশাসনে।
সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসাম রাজ্য প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা লায়লাপুর সীমান্তে যান। সেখানে পৌঁছানোর পরপরই তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন মিজোরামের স্থানীয় বাসিন্দারা।
ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় এক পর্যায়ে পুলিশ টিয়ারগ্যাস, লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘাতে সরকারি একাধিক কর্মকর্তাসহ আহতের সংখ্যা অর্ধ-শতাধিক ছাড়িয়েছে।
গত মাসেও একবার এই দুই রাজ্যের সীমান্তে সংঘর্ষ হয়েছিল। এসব বিরোধ নিরসনে সীমান্ত কমিশন গঠন করেছে মিজোরাম সরকার। অন্যদিকে মিজোরামের পাশাপাশি মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গেও আসামের সীমান্ত নিয়ে বিরোধ রয়েছে।