রূপ চর্চা করার প্রয়োজনীয়তা
রূপ চর্চা করার প্রয়োজনীয়তা।রূপ চর্চা কেনো করবেন?সূর্যের বেগুনি রশ্মি ত্বকের গভীরে পৌঁছে নানা রকম রূপ সমস্যা সৃষ্টি করে, বয়স বাড়ার কারণে অনেক রূপের সমস্যা হয়। আবার শীতে রুক্ষ ও শুঙ্ক হয়ে উঠে আমাদের ত্বক ও চুল। শুধু রক্ষতাই নয় এ সময় চুলে খুশকি চুল পড়া সহ আরো নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। আমরা বিভিন্ন কারণে ঘরেই বাহির হই। যার ফলে শরীরের অঙ্গ প্রত্যেঙ্গ ধুলাবালি ঘাসে ভিজে আটকে যায়।যদি রূপ চর্চা না করেন তবে অল্পদিনের মধ্যে বাধক্যতার ছাপ সহ আরও আরো নানা রকম স্কিন স্পষ্ট হতে পারে। এসব কথা চিন্তা করে তারুন্যকে ধরে রাখতে রূপ চর্চা করা প্রয়োজন।
রূপ চর্চাঃরূপ চর্চা চুল পরিচর্যা পোশাকের ধরন ও মডেল, ঋতুর উপর নির্ভর করে করার নিয়ম। কারণ রূপচর্চার এক এক ঋতুতে এক এক নিয়ম কলা কৌশল রয়েছে। আবার ঋতুর উপর নির্ভর করে প্রসাধনীর ধরণও পরিবর্তন হয়। শীতে যে স্টাইল পোশাক পরেন গরমে পরেন না, আবার বর্ষার পোশাকের ধরণ সে রকম হয়। রূপ চর্চার বেলায়ও তাই। মনে রাখতে হবে রূপ ও স্বাস্থ্য আমাদের সৌন্দর্যের প্রতীক। যা একটু অবহেলায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বলি প্রতিকারের আগেই প্রতিরোধ করুন। কেমন করে এই তারুন্য ধরে রাখবেন প্রথমে আমরা জানতে পারি না। এজন্য রূপ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ীই চলা উচিত। প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করেন, পোশাকের যত্ন নিন। কিন্তু রূপের যত্ন নিলেন না, তাহলে এক সময় দেখবেন বড় ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তাই আগে থেকেই সচেতন হন।
সহনশীলতাঃ জীবনে সমস্যার অন্ত নেই। অনেক সময় অনেক কাজ একার পক্ষে সমাধান করা সহজ হয় না। ফলে শিকার হতে হয় নানা দুঃখ কষ্টের। মানুষের সাথে আপনার ব্যবহারের সফলতা নির্ভর করবে নিম্নের দুটি বিষয়ের উপর।
(১) অন্যের সমস্যাকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করা এবং অন্য লোকের দৃষ্টিকোন থেকে সমস্যাটিকে দেখা।
(২)সমস্যা জর্জরিত লোকটির সমস্যার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। আপনি যদি আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা আপনজনের সমস্যার প্রতি গুরুত্ব না দেন, কিংবা দেখেও দেখেন না। কিংবা উদাসীন থাকেন, তা হলে ব্যক্তি আপনাকে শুধু এড়িয়েই চলবে না বরং আপনার প্রতি রাগ করে থাকবে। এবং তার সুবিধা মতো সময়ে প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করতে পারে। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজেই তার বসবাস; সমাজকে নিয়ে তার জীবন চক্র। সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। এই মানসিকতা নিয়ে যদি বাস্তব জীবনে চলি, একজনের প্রয়োজনে আপদে বিপদে সুখে দুঃখে সহানুভূতিশীলও সহনশীল হই। যদি সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করি, তবেই আমাদের জীবিকা শান্তি সুখের হবে।আমরা যদি সবাই ব্যথিতের বেদনায় সমবেদনা জানাই। ব্যথিত হই ব্যথিতের সাথে একাত্মতা হয়ে একাত্মতা ঘোষণা করে সাহায্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত করি। তবে দেখবে চার পাশে কত আপনজন।প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তারা সাহায্য সহযোগিতা ইস্ত প্রসারিত করে সর্বস্ত নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এগিয়ে আসবে। বিপদ থেকে উত্তোরণ আপনার জন্য অত্যন্ত সহজ হবে। আপনি আনন্দ তৃপ্তি লাভ করে সুখ ও আনন্দিত হবেন যেটা আপনার স্মার্টনেস বিকাশের ক্ষেত্রে জরুরী বিষয়।
আচার ব্যবহারঃ আপনার রূপ অপরূপ করতে হলে শুধু ভালোবাসা কদর বা প্রসাধন ব্যবহার করলেই চলবে না, আপনার সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য চাই, ব্যক্তিত্বের স্বকীয়তা মনের প্রফুল্লতা। মনে করুণ; আপনি একজন সুন্দরী নারী জামা কাপড় পড়েন, নানাবিধ অলংকার সজ্জ্বিত হন, ভাল সাজগোজ করেন, কিন্তু বিমর্ষ বা বিরক্ত মুখে বা ক্রধ চোখে তাকিয়ে থাকেন এমন অবস্থায় আপনি কারোমন জয় করতে পারবেন না।পক্ষান্তরে আপনি যদি পরিচ্ছন্ন পোশাকে, মুখে মধুর হাসি, বিনয়ভাবে সবার সাথে হেসে কথা বলেন তাহলে আপনাকে অনেক সুন্দর দেখাবে। এবং সবার অবচেতন মনে আপনি সকলের প্রশংসার পাত্র হয়ে উঠবেন। এর জন্য চাই শিষ্টাচার, ভদ্রতা, বিনয়, সহানভুতি, মধুর ব্যবহার ও নম্রতা। বড়দের শ্রদ্ধা ছোটদের স্নেহ করতে শিখুন। সালাম শুভেচ্ছা বিনিময় করা ও কটু নিন্দা বাক্য পরিহার করুন। বদ অভ্যাস ত্যাগ করে ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আনন্দের সাথে কাজঃকাজে আপনার স্বপ্ন বা আনন্দ, যে কাজ আপনার ভালো লাগে, যার মাধ্যমে আপনার বিকাশ, আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সে কাজটিকে আনন্দের সাথে, তৃপ্তির সাথে মন দিয়ে করুণ। দেখবেন আলসেমী ও উদাসীনতা চলে গেছে। সফলতা অর্জন করতে হলে সে কাজটিকে মনে প্রাণে আন্তরিকতার সাথে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। আর সে কাজ যদি নিরানন্দ থাকে তবে সে কাজে সফলতা আসে না। তাই যখন যেটা করবেন আনন্দ ও খুশী মনে করুন দেখবেন ভাল ফল পেয়ে গেছেন। পৃথিবীর নিরানন্দ যেটা সৃষ্টি হয়েছে, সেটার মধ্যে ছিল হতাশা। তা হলে কেন হতাশা, এই হতাশাই মানুষের স্মার্টনেস ও আকর্ষণীয়তা কুড়ে কুড়ে খায়। তাই যে কোন মহৎ ভাল কাজ ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আনন্দের সাথে করে সফল হয়ে তার ফল লাভ করুন এবং পরিতৃপ্তি হোন।