ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম , নিয়ত ও দোয়া : ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ হলো ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এই ঈদ পালিত হয়। আগামী ২১ জুলাই ১০ জিলহজ পবিত্র কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে। বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পড়তে হয়। ঈদের নামাজ দুই রাকাত। যা আদায় করা ওয়াজিব এবং তা জামাআতে আদায় করতে হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যায়। তাই সবার সুবিধার্থে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-
১. ঈদের দুই রাকাত নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির দিতে হয়। প্রথম রাকাত: আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সঙ্গে এই ইমামে পিছনে আদায় করছি বলে নিয়ত বাঁধতে হয়।
প্রথমেই- তাকবিরে তাহরিমা- ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধবেন। ইমাম ও মুসল্লিরা নিয়ত বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ এ দোয়াটি পড়বে-
উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক। তারপর ইমামের উচ্চস্বরে তাকবির বলার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরাও তাকবির বলবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে ছেড়ে দিবেন।
তৃতীয় তাকবিরের সময় উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে না ছেড়ে হাত বাঁধবেন। এরপর ইমাম সাহেব সূরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু, সিজদা করবেন; মুসল্লিরাও ইমামের সঙ্গ রুকু সিজদা করবেন।
দ্বিতীয় রাকাত: ইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা মিলানোর পর রুকুতে যাওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত তিন তাকবির প্রথম রাকাতের মতোই আদায় করবেন। অতপর রুকু-সিজদা করার পর অন্যান্য নামাজের মতোই সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করবেন।
দোয়া : ঈদের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করতে হবে। ইমাম সাহেব সবার জন্য পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করবেন। আমরা যেন যথানিয়মে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারি আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন— আমিন।
এ নিয়মে ঈদুল ফিতরও আদায় করা হয়। উভয় ঈদের আগে পরে কোনো নফল বা সুন্নত নামাজ নেই। এমনকি ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইকামাতেরও প্রয়োজন হয় না।