দ’রি’দ্র আব্দুল কাদের মোল্যার নিজের জমি নেই। ব্যা’টা’রিচালিত ইজি’বাইক চালিয়ে সংসার টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। সংসারে স্ত্রী, ছেলেমেয়ে আছে; আর আছে এক রাজা- গ’রি’বের রাজা। দিন শেষে বাড়ি ফিরতেই শুরু হয় রাজার হাঁ’ক’ডা’ক। ও ঠিক বুঝে ফেলে কাদের মোল্যার উ’প’স্থি’তি। ত’খ’ন সব ফেলে আগে তার কাছে যেতে হয়। শরীরে হাত বু’লি’য়ে দেয়ার পর, ভাব-ভালোবাসা আ’দা’ন-প্রদান শেষে রাজা শান্ত হয়। হা’স’তে হা’স’তে কথাগুলো বলছিলেন কাদের মোল্যা।
অনেক আ’দ’র, যত্নে তিনি এই ষাঁড় লা’ল’ন-পালন করেছেন। ভালোবেসে নাম রেখেছেন ‘গ’রি’বের রাজা’। কোরবানি সামনে রেখে সাড়ে ৫ ফিট উঁচু, সাড়ে ৭ ফিট লম্বা রাজা এখন প্র’স্তু’ত। ওজন বিশ মণ। কিন্তু বি’ক্রি’র কথা উঠলেই কাদের মোল্যার মন বি’ষা’দে ভরে যাচ্ছে। তিনি রাজার দাম হেঁ’কে’ছেন ১২ লাখ টাকা।
প’ছ’ন্দের দাম প্রায় পেয়েও গেছেন। তারপরও আরো কয়েকদিন অ’পে’ক্ষা করতে চান তিনি। রাজা থা’কু’ক আর ক’টা দিন তার কাছে। রাজাকে বি’ক্রি করে তার লাভ হবে ঠিকই, কিন্তু রাজার ভালোবাসার দাম টাকায় মা’প’তে চান না কাদের মোল্যা!
রাজা এখন কাদের মোল্যার একমাত্র স’ম্প’দ। তার দাবি রাজা এই এ’লা’কা’র সবচেয়ে বড় গরু। যে কা’র’ণে রাজাকে দেখতে অনেকে ভিড় করছেন। তেমনই এক যু’ব’ক দিপু শেখ বলেন, ‘মানুষের মুখে ষাঁ’ড়’টির কথা শুনে দেখতে এসেছি। আ’শ্রা’য়’নের সামান্য এই জায়গায় এমন একটি ষাঁড় লা’ল’ন-পালন করে কাদের মোল্যা দৃ’ষ্টা’ন্ত স্থাপন করেছেন।’রাজার সাফল্যে উ’চ্ছ্ব’সি’ত হয়ে ভবিষ্যতে আরো গরু লা’ল’ন-পালন করে বড় একটি খা’মা’র দিয়ে ভাগ্য ফে’রা’নোর স্বপ্ন দেখছেন কাদের মোল্যা।
এ প্র’স’ঙ্গে কছুন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চে’য়া’র’ম্যা’ন মো. আবুল কাশেম মোল্যা বলেন, ‘কাদের গরুটির পেছনে শুধু অর্থই ঢালেনি, প’রি’শ্র’মও করেছে। তার সাফল্য দেখে অ’নু’প্রা’ণি’ত হচ্ছে এলাকার মানুষ।’