এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা’র সিদ্ধান্ত

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা’র সিদ্ধান্ত  হয়েছে।দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটিও। এর ফলে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে আসছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, এ অবস্থায় ‘অটো পাস’ না দিয়ে যেকোনো উপায়ে মূল্যায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এবার শিক্ষা বোর্ডগুলোও একেবারে ‘অটো পাস’ দিতে চায় না। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি অনুকূল হলে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়ে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী জেএসসি-জেডিসি-এসএসসির ভিত্তিতে এবং অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে এসএসসি-এইচএসসির মূল্যায়ন করা হবে।

প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি এবং এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর থেকে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটি আছে।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সব বিষয়ের পরীক্ষা নিতে চাই না। সিলেক্টিভ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে ৩টি বিষয়ের উপর পরীক্ষা হবে। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও প্রণয়ন করা হবে। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে। বাকি আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ন হবে এসএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষার বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে।

আর যদি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে অ্যাসাইনমেন্ট ও বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। অথবা শুধু বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমেও মূল্যায়ন হতে পারে। সেটি পরে জানানো হবে।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদসহ অন্যান্য বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version