হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসেকে বাসভবনে হামলা করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছে। আরো দুজনকে আটক করা হয়েছে। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিবিসি।হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোসের হত্যাকান্ডে অন্তত ২৮ ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। এদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ান এবং ২জন হাইতিয়ান বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক।
বুধবার দেশটির পুলিশ প্রধান লিওন চার্লস বলেছেন, ‘অপরাধ করে পালানোর সময় আমরা তাদের ঘেরাও করে ফেলি। তারপর থেকে তাদের সঙ্গে আমাদের লড়াই চলেছে। দুজন হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা আটক করে হবে। তিনজন পুলিশ সদস্যকে জিম্মি করা হয়েছিল। তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।’
জাতীয় পুলিশের মহাপরিচালক লিওন চার্লস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা ১৫ জন কলম্বিয়ান এবং হাইতিয়ান বংশোদ্ভুত ২ মার্কিনিকে গ্রেফতার করেছি। ৩ জন কলম্বিয়ান নিহত হয়েছে। পালিয়েছে অপর ৮ জন।’
বুধবার পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন ৪ জন নিহত হয়েছে। তবে চার্লস এই তথ্যের সুনির্দিষ্ট কোন ব্যাখ্যা দেননি। তিনি বলেন, ‘হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।’ রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে নিজের বাসভবনে মোসে এবং তাঁর স্ত্রী মার্টিনের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার একদিন পর চার্লস এমন বক্তব্য রাখেন।
ভোর রাতে চালানো এ হামলায় মোসে নিহত এবং তাঁর স্ত্রী আহত হয়েছেন। মার্টিনকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে মিয়ামি নেয়া হয়েছে। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।