দেশ রক্ষায় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্দেশে আবারও প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি । বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এগুলো তুলে ধরেন । তিনি বলেন, এই পাঁচটি জিনিস করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রধান টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যে লড়াই সেটা বস্তুত একটি দীর্ঘস্থায়ী লড়াই। ‘আমাদের জিডিপি’র ৬-৭ শতাংশ অর্থাৎ বর্তমান ৬ লাখ কোটি টাকার বিরাট বাজেটের একটি সামান্য অংশ এ খাতে বরাদ্দ করলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব। যা দরকার, সেটা হলো সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা। ঐক্যবদ্ধভাবে এ মহাসংকট মোকাবিলার জন্য আমাদের দলের পক্ষ থেকে পুনরায় উদাত্ত আহ্বান জানাই।
বিএনপির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সব রাজনৈতিক দল, এনজিও ও সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে একটি জাতীয় আপতকালীন পরামর্শক কমিটি গঠন করা।
বাকি ৪টি প্রস্তাব হচ্ছে:
১. দরিদ্র মানুষকে ঘরে রাখার জন্য তাদের ঘরে নগদ অন্তত এককালীন ১৫ হাজার টাকা এবং খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে।
২. মানুষকে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
৩. অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে অতি দ্রুত টিকা দিতে হবে। এ জন্য একটি সমন্বিত ও সুনির্দিষ্ট রোড-ম্যাপ প্রণয়ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। অবিলম্বে দেশে টিকা উৎপাদনের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. বর্তমানে সারাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সর্বাত্মক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সারাদেশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ, আইসিইউ ও করোনা বেড বৃদ্ধিসহ অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসাসামগ্রী ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক/স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।