লকডাউনের অষ্টম দিনে অকারণে বের হওয়ায় সড়কে সর্বোচ্চ জরিমানা
ব্যক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হয়েছে
অষ্টম দিনে অকারণে বের হওয়ায় সড়কে সর্বোচ্চ জরিমানা, গ্রেপ্তার ১০৭৭, এছাড়াও ডিএমপি ট্রাফিক কর্তৃক ৯৩৭টি গাড়িকে ২১ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার ডিএমপির (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে মোবাইলকোর্টে ৩১৮ জনকে ১৬ লাখ ৭৯০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মোট জরিমানা হয়েছে ৩৭ লাখ ৫৪ হাজার ২৯০ টাকা। যা লকডাউনে একদিনে সর্বোচ্চ।
ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, সরকারের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে রাজধানীতে পুলিশের বিভিন্ন টিমের সদস্যরা কাজ করছে। যারা যৌক্তিক কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদের আইনের আওতায় ও জরিমানা করা হচ্ছে। অনেকেই ঘর ছেড়ে কোন কারণ ছাড়াই বেরিয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, অন্যদিনগুলোর চেয়ে আজ জরিমানা বেশি। এখানে ব্যক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হয়েছে। তাই পরিমাণ বেশি হয়েছে।
এদিকে আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে সড়ক ও মহাসড়ক ঘুরে গত ছয়দিনের লকডাউনের তুলনায় সর্বত্র ঢিলেঢালা ভাব। রাস্তাঘাটে সকাল থেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, লরি, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলসহ অধিক সংখ্যায় যানবাহন চলাচল করছে।
পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা জানায়, রাজধানীর তেজগাঁও, শাহবাগ, রমনা, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, মিরপুর, গুলশান থেকে গাড়িগুলোকে জরিমানা ও আটক করা হয়। আটকদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। পাশাপশি অলিগলি, কাঁচা বাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারে আগের দিনগুলোর চেয়ে মানুষের উপস্থিতি আজ অনেক বেশি ছিলো।
এদিকে গতকাল বুধবার কঠোর লকডাউনের ৭ম দিনে অকারণে বের হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১০২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ডিএমপি ট্রাফিক কর্তৃক ৮০৪ টি গাড়িকে ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে মোবাইলকোর্টে ২৪৫ জনকে এক লাখ ৭১ হাজার ৯৮০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো।