লকডাউনে জনশূন্য ঢাকার রাজপথ

সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে। পাশাপাশি আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক এই ছুটির দিনের ভোর থেকেই হচ্ছে বৃষ্টি। ফলে সড়কে মানুষের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ব্যক্তিগত যানবাহনও তেমন একটা দেখা যায়নি। বিভিন্ন সড়কে অল্প কিছু রিকশা, মাইক্রোবাস, ট্রাক,কার্ভাড ভ্যান, পিকআপ চলাচল করতে দেখা গেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে পান্থপথ, বাংলামটর, এফডিসি বা হাতিরঝিলসহ ফার্মগেট যাওয়ার প্রধান সড়কগুলোতে অন্যদিন যেখানে যানবাহন দাপিয়ে বেড়ায় সেখানে শুক্রবার কোনো যানবাহনই দেখা যায়নি। এছাড়া কারওয়ান বাজারের চিত্রও ছিল প্রায় একই রকম। সেখানেও মানুষ ছিল কম।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে আজ সকালে লোকজনের উপস্থিতি ছিল। ছুটির দিন সকালে নগরবাসীর অনেকেই বাজার করে থাকেন। বাংলামটর এলাকায় কথা হয় রাকিব নামে একজন পথচারীর সাথে। লকডাউন কেমন হচ্ছে তা বুঝতে আরও দুই একদিন সময় লাগবে বলে মনে করেন তিনি। সড়কে যানবাহনের অপ্রতুলতার কারণে যে রিকশাগুলো চলছে তারা বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

রাফি রহমান নামের আরেক পথচারী রিকশায় খিলগাঁও থেকে কুড়িল যাচ্ছিলেন। মাঝপথে কথা হয় মশিউর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ২০০ টাকা রিকশা ভাড়ায় কুড়িল যাচ্ছি, একদিকে লকডাউন অন্যদিকে ভোর থেকে বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় খুব একটা মানুষ দেখতে পাইনি। যেহেতু গণপরিবহন নেই, তাই বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশায় যাচ্ছি। এ পর্যন্ত যতটুকু এসেছি সেসব সড়কে কোথাও মানুষের খুব বেশি উপস্থিতি নেই। গতকালের তুলনায় আজ যানবাহনও কম সড়কে।

লকডাউন বাস্তবায়নে এবার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস সাত দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে। কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

গতকাল যারা বিনা কারণে বের হয়েছেন, তাদের অনেককেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হতে হয়েছে অথবা জরিমানা দিতে হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, যৌক্তিক কারণ ছাড়া বের হওয়ায় গতকাল ঢাকায় ৪৯৭ জনকে আটক করা হয়।

২৫৮ জনকে গ্রেপ্তার ও ৮ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এর বাইরে র‍্যাব ৪০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সারা দেশে ১৮২ জনকে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

Exit mobile version