Featured Newsদৈনিক সংগ্রাম

দেশজুড়ে আলোচিত কয়েকটি মামলার রহস্য এখনো উম্মোচন হয়নি

একটি ঘটনার তদন্ত শেষ না হতেই ফের ঘটছে আরও একটি

দেশজুড়ে আলোচিত কয়েকটি মামলার রহস্য এখনো উম্মোচন হয়নি,একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর ঘটছে আরেকটি ঘটনা। একটি ঘটনার তদন্ত শেষ না হতেই ফের ঘটছে আরও একটি। কোনো ঘটনা ঘটলেই র‌্যাব, পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা মাঠে নামেন। শুরু হয় ব্যাপক তৎপরতা। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এর মধ্যে অনেক ঘটনার তদন্ত করে আসামি ধরতে সক্ষমও হয়েছে। বহুল আলোচিত কয়েকটি ঘটনার আসামি গ্রেফতার করে চার্জশিটও দেয়া হয়েছে। তারপরও দেশজুড়ে আলোচনায় থাকা আলোচিত কয়েকটি ঘটনা ক্রমেই চাপা পড়ে যাচ্ছে।

দেশজুড়ে আলোচিত কয়েকটি মামলার রহস্য এখনো উম্মোচন হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে, কিন্তু অভিযোগের সুরাহা করতে পারেননি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এরমধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলা, রাজধানীতে সাম্প্রতিক সময়ে ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলা ও কুমিল্লায় তনু হত্যা মামলা উল্লেখযোগ্য।

মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলা: কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে অবসপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে তখন ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তাতে আলোচিত সিনহা হত্যা মামলা গুরুত্বের সঙ্গে দ্রুত তদন্ত ও অভিযোগপত্র দায়েরের মাধ্যমে তা বিচারিক পর্যায়ে চলে যায়। গত বছরের ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। তখন নিহতের গাড়ি থেকে কিছু ইয়াবা, গাঁজা ও মদ উদ্ধারের কথা বলে পুলিশ। দায়ের করা হয় একাধিক মামলা। কিন্তু ঘটনার পরদিনই পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘রাওয়া’ ক্ষোভ প্রকাশ করে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো সোচ্চার হয়, গণমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।

মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান
মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান

আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় জনগণও প্রতিবাদী হয়। ওই বছরের ৫ আগস্ট এই ঘটনায় নয়জন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন মেজর (অব.) সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার। আদালত মামলাটি আমলে নেয় এবং টেকনাফ থানাকে মামলাটি নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। আসামিরা আদালতে দ্রুত আত্মসমর্পণ করেন। মামলার তদন্তভার পাওয়া র‌্যাব হত্যাকাণ্ডের চার মাস দশ দিন পর কক্সবাজার আদালতে ২৬ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেয়। র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম চার্জশিটে সিনহা হত্যার ঘটনাটি ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা’ বলে উল্লেখ করেন।

গত ৮ এপ্রিল এই মামলার দিন ধার্য ছিল জানিয়ে সিনহার বোনের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেছেনন, ‘মামলায় একজন আসামি পলাতক রয়েছেন। আর বাকি আসামিরা কারাগারে আটক। সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় র‌্যাব। এতে মোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমারসহ নয়জন বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্য, তিনজন এপিবিএনের সদস্য এবং তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি। এর মধ্যে পুলিশের কনস্টেবল সাগর দেব পলাতক। আর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ১৪ জনই কারাগারে আছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১২ জন নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

শুধু ওসি প্রদীপ এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে জবানবন্দি দেননি। র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা ৮৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন। বিভিন্ন ধরনের আলামত ও ডিজিটাল কন্টেন্ট আমলে এনে হত্যাকাণ্ডের মামলায় অভিযোগপত্র দেন তিনি। মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমারসহ অভিযুক্ত ১৪ জন কারাগারে রয়েছেন। অন্যরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

মুনিয়ার মৃত্যু: রাজধানীর গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাটে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনা মামলায় ‘আত্মহত্যা প্ররোচনার’ কোনো প্রমাণ এখনো পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বরং মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে বলে কিছু প্রমাণ মিলেছে পুলিশের তদন্তে। তবে মামলার তথ্য-উপাত্তের প্রয়োজনীয় তদন্ত এখনো চলছে। এর আগে নিশ্চত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এই তথ্য মিলেছে। তারা বলছে, মুনিয়ার আত্মহত্যায় কোনো প্ররোচনার বিষয় এখনো পাওয়া যায়নি। বরং মামলার এজাহারে একমাত্র অভিযুক্ত যাকে করা হয়েছে, তিনি বাদে অন্য কোনো ব্যক্তির মদদ আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মোসারাত জাহান মুনিয়া
মোসারাত জাহান মুনিয়া

কারণ, যাকে একমাত্র অভিযুক্ত করে মামলার এজাহারে নাম দেওয়া হয়েছে, তার সংশ্লিষ্টতা প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায়নি। কিছুদিনের মধ্যেই এ নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে মারা যান মুনিয়া। ওইদিন বিকালে নিহতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ। পরে রাতে একটি স্বনামধন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডিকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। এদিকে, এজাহারে মুনিয়ার বয়স বলা হয়েছে ২১ বছর এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তদন্ত সংশ্লিষ্টতরা বলছে, আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার প্রমাণ হিসেবে যেসব তথ্য-উপাত্ত লাগে সেটি নিয়ে তারা প্রায় এক মাস অনুসন্ধান চালিয়েছে। সেখানে মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনার কোনো বিষয় ছিল না।

তাছাড়া তদন্তে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে- তার মধ্যে রয়েছে ‘টেলিফোনে হুঁমকি’। মামলার এজাহারে বাদী নুসরাত জাহান অভিযোগ করেছেন, ২৩ এপ্রিল মুনিয়াকে টেলিফোন করে এজাহারে অভিযুক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানটির এমডি হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু হুমকির এমন তথ্য বাস্তবের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি। ‘কল লিস্টে’ মুনিয়াকে ওই সময় (এজাহারে অভিযুক্ত ব্যক্তি) এরকম কোনো টেলিফোন করেননি। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এটি পুরাতন কোন অডিও কিংবা কথোপকথনটি এডিটিং করা হয়েছে বা ফোনটি আদৌ করা হয়েছে কি-না সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নয় তারা। এটি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। এদিকে বাদী এজাহারে অভিযোগ করেছেন, ২৩ এপ্রিল তার বোনকে অভিযুক্ত ফোন করে। মুনিয়ার মৃত্যুর পর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেখতে চাচ্ছে, মুনিয়ার ফ্ল্যাটে কারা গিয়েছিল। মুনিয়ার মৃত্যুর পর বেশ কিছু ডায়েরি উদ্ধার করা হয়। সেখানে মুনিয়ার বোনের করা মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির মাধ্যমে মুনিয়া আত্মহত্যা করেছে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান বলেন, আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মামলাটি তদন্ত করছি।

মিতু হত্যার পাঁচ বছর : চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর আবার থেমে গেছে। এ মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। তবে মিতু হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেননি তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। রিমান্ড শেষে বাবুল আক্তারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবি আই)।

মাহমুদা খানম মিতু
মাহমুদা খানম মিতু

গত ১২ মে দুপুরে বাবুল আক্তারকে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবি আই)। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত সুদানে জাতিসংঘ শান্তিমিশনে ছিলেন বাবুল আক্তার। এ সময় বাবুল আক্তারের মোবাইল ফোনটি চট্টগ্রামের বাসায় ছিল। ওই মোবাইল ফোনের ম্যাসেজের সূত্র ধরে নিশ্চিত হওয়া যায় গায়ত্রী অমর সিং নামে ভারতীয় এক নারীর সঙ্গে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের পরকীয়া ছিল। বাবুল আক্তার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কক্সবাজারে থাকার সময় ইউনাইটেড ন্যাশনস হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর) কর্মকর্তা গায়ত্রী অমর সিংয়ের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

বাবুল আক্তারের নামে দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মোট ২৯ বার ম্যাসেজ দেন গায়ত্রী। এরই মধ্যে গায়ত্রী অমর শিংয়ের দেয়া দুটি বই পাওয়া যায়। বই দুটি বাবুল আক্তারকে উপহার দিয়েছিলেন গায়ত্রী। এই পরকীয়া প্রেমের কারণে বাবুল মিতুর দাম্পত্য জীবনে চরম অশান্তি সৃষ্টি হয়। বাবুল আক্তারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে মিতুর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। এই নির্যাতনের বিষয়টিও মিতু বাবা-মাকে জানিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। হত্যাকাণ্ডের সময় ছেলেকে ধরে রেখেছিল বাবুল আক্তারের সোর্স কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, যাকে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মুসা নিখোঁজ আছেন। সম্প্রতি মুসার স্ত্রী নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন।

শনাক্ত হয়নি তনু হত্যার আসামী: পাঁচ বছরেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়নি। পাঁচ বছরে আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছেন পাঁচবার। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও কোনো আসামী শনাক্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত তদন্তেই আটকে আছে মামলার কার্যক্রম। সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তনু হত্যামামলার তদন্তের দায়িত্ব থাকার পর গত বছরের (২০২০ সাল) নভেম্বরে তদন্তভার দেয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিআইবি)।

সোহাগী জাহান তনু
সোহাগী জাহান তনু

গত ২৮ অক্টোবর পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনায় পিবি আই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে বলে জানান কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক। এদিকে দীর্ঘ সময়েও তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তনুর পরিবার। তাদের অভিযোগ, টাকা ও ক্ষমতা না থাকার কারণে তারা বিচার পাচ্ছে না। পরিবারের ছোট সদস্যকে হারানোর বেদনায় এখনো কাতর তনুর মা–বাবা, দুই ভাইসহ স্বজনেরা। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের অদূরের কালভার্টের ২০ থেকে ৩০ গজ পশ্চিমে ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২১ মার্চ বিকেলে তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যামামলা করেন।চার বছর পর গত বছরের ২১ অক্টোবর হত্যা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবি আই) ঢাকার সদর দপ্তরে স্থানান্তর করা হয়।

Back to top button