বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

সারাদেশে ইন্টারনেটের রেট নির্ধারণ, মাসে সর্বনিম্ন ফি ৫০০ টাকা

সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের মাসিক ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ৫ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) গতির ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ মূল্য হবে ৫০০ টাকা। বিটিআরসি জানিয়েছে, এখন থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে এটিসহ তিনটি ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত সর্বোচ্চ মূল্যের বেশি কেউ নিতে পারবে না। নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ এমবিপিএসের মূল্য ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের মূল্য ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ব্রডব্যান্ডের ট্যারিফ বা মূল্য নির্ধারণের এই কর্মসূচি ‘এক দেশ, এক রেট’কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই রেটে শুধু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিক্রি হবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহক বর্তমানে দেশে প্রায় এক কোটি। এই সংখ্যক গ্রাহক দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহাকারীর ১৭ শতাংশ। কিন্তু এই গ্রাহকরা দেশের মোট ব্যান্ডউইথের ৫৮ শতাংশ ব্যবহার করে। সংবাদ সম্মেলনে ‘এক দেশ এক রেট’ কার্যক্রমের ঘোষণা দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে ইন্টারনেটের এক দেশ এক রেট বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা করেন বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচাক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের স্বপ্ন বাড়ি বাড়ি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া। প্রত্যন্ত এলাকার বাড়িও বাদ যাবে না। তিনি উল্লেখ করেন, এখানে অনেক দাবি উঠেছে। আমরা প্রতিটা দাবি বিশ্লেষণ করে আগামী দিনে আরও ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়ে আপনাদের সামনে আসবো।

আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, দেশের বড় বড় কয়েকটা আইএসপি গত বছর দুয়েক ধরে সারা দেশে এক দেশ এক রেটে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে। এখন সবাই এই সেবা দেবে। তিনি জানান, জুলাই থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। তিনি বিটিআরসির প্রতি আহŸান জানান, ইন্টারনেটের মতো এনটিটিএন সার্ভিসেরও দাম বেঁধে দেওয়ার। তাহলে ব্যান্ডউইথ পরিবহন খরচ কমবে। আরও কম দামে ইন্টারনেট সেবা বিক্রি করা যাবে।

আইআইজি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জুনায়েদ প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবহারকারীদের ঢাকার দামে ইন্টারনেট সেবা পাওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানান। এতে করে দেশে বিরাজমান ডিজিটাল বৈষম্য কমবে বলে মনে করেন।

বিটিআরসিতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, কমিশনার (লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, আইআইজি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জুনায়েদ প্রমুখ।

Back to top button