নিজের ব্যবসার ব্রান্ডিং করার ৬ টি সুবিধা

প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে চাইলে ব্র্যান্ডিং হতে পারে আপনার অন্যতম হাতিয়ার। সঠিক এবং সুপরিকল্পিত ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার পণ্যের ক্রেতা আকৃষ্ট করতে পারবেন এবং ব্র্যান্ড ইমেজ বজায় রাখতে পারলে তাকে সন্তুষ্ট করে আপনার নিয়মিত কাস্টমার বানাতে পারবেন খুব সহজেই।

ব্র্যান্ডিং সঠিকভাবে করতে পারলে পণ্য বিক্রি করাটা খুব সহজ হয়ে যায়, কারণ কাস্টমার আপনার সেবা ও মানের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়। যে কোনো ধরণের বিজনেস এর জন্য ব্র্যান্ডিংটা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। একমাত্র ব্রান্ডিংই পারে কম বিক্রি করেও পর্যাপ্ত মুনাফা করার ব্যবস্থা করতে। বাংলাদেশ যখন খেলায় জিতে, বা এভারেস্ট জয় করে, তখন আমরা দেখি, দেশের পতাকা ব্যাবহার করা হয়। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের ব্রান্ডিং।

ব্রান্ডিং বলতে আমরা কি বুঝি?

মার্কেটিং এর ভাষায় ব্রান্ডিং হল, এমন কিছু করা যেটার ফলে অন্যদের চাইতে নিজেকে আলাদা ভাবে চেনানো যায়। সেটা ইউনিক ভাবে হতে পারে, কিংবা হতে পারে ধারাবাহিক ভাবে দীর্ঘ সময় একই পদ্ধতি অনুসরণ করে। মোদ্দা কথা, ব্রান্ডিং হল নিজেকে চেনানো।

কি কি ভাবে ব্রান্ডিং করা যায়?

অনেক ভাবেই আপনি নিজের ব্রান্ডিং করতে পারেন। ভাল মানের কন্টেন্ট দিয়ে সবচাইতে ভাল ব্রান্ডিং করা যায়। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এখন ভাল মানের পোস্ট নিয়মিত দিয়ে খুব দ্রুত ব্রান্ডিং করা সম্ভব। পন্য প্যাকেজিং সুন্দর করে দিয়ে ব্রান্ডিং করা যায়। ভাল মানের লোগো দিয়ে সেটায় ব্রান্ডিং করা যায়। আপনি নিয়মিত পন্য নিয়ে ভিডিও দিয়ে ব্রান্ডিং করতে পারেন।

এখন দেখে নেই, ব্রান্ডিং এর সুবিধা গুলি:

১) ব্রান্ডিং করার কারনে আপনি নিজের পন্য বা ব্যবসা নিয়ে মানুষের কাছে আলাদা ভাবে পরিচিতি করতে পারবেন। খুব সহজেই যদি চান, মানুষ আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নিক, তাহলে ব্রান্ডিং ইজ আ মাস্ট ।

২) অন্যদের চাইতে প্রতিযোগিতায় অনেক এগিয়ে থাকা যায়। ব্রান্ডিং ভাল ভাবে করতে পারলে আপনাকে অন্যদের নিয়ে ভাবতে হবে না। তাদের থেকে এগিয়ে থাকতে পারবেন। নিয়মিত হতে হবে এই ক্ষেত্রে।

৩) ক্রেতাদের সাথে এবং আপনার অডিয়েন্স বা ফলোয়ারদের সাথে খুব ভাল রকম সম্পর্ক করা সম্ভব ব্রান্ডিং এর মাধ্যমে। ডিজিটাল এই যুগে ক্রেতাদের সাথে ভাল সম্পর্ক করার কোন বিকল্প নেই। ব্রান্ডিং এর মাধ্যমে এটা করতে পারবেন আপনি।

৪) ব্রান্ডিং সবার কাছে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে বহুগুনে। যে বিক্রেতা বা উদ্যোক্তা বেশি একটিভ, মানুষ কিন্তু তাকেই বেশি মনে রাখে। আর এর ফলে তাকেই যে বেশি বিশ্বাস করবে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

৫) মার্কেটিং বা পন্যের প্রচারনার খরচ বাঁচায় ব্রান্ডিং। এটা একদম সত্যি। আপনার পন্য নিয়ে প্রচারনা চালাতে হলে আপনাকে অনেক টাকা না হলেও কিছু টাকা তো খরচ করতেই হবে। কিন্তু আপনি ভাল মানের কন্টেন্ট আপনার ব্লগে কিংবা পেজে, প্রোফাইলে বা গ্রুপে নিয়মিত পোস্ট করলে আপনার কি কোন টাকা লাগবে?? একদম ফ্রিতেই কি করতে পারছেন না এটা??

৬) রিপিট ক্রেতা পাওয়া খুব সহজ হয়ে যায়। আপনার ব্রান্ডিং এর কারনে যখন মানুষ পন্য নিয়ে সন্তুষ্ট হবে, খুব স্বাভাবিক ভাবেই তারা তাদের বন্ধু বান্ধব বা কাছের মানুষদেরকে আপনার বিষয়ে বলবে। কিংবা আপনার পন্য নিতে বলবে। এটাকে বলে Word of Mouth. মুখে মুখে প্রচার হয়ে যাওয়া।

এই পর্যায়ে যদি কোন ব্যবসা যেতে পারে, তাহলে তাদের আর পিছনে তাকাতে হয় না কক্ষনো।

Exit mobile version