যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তারাই জানেন এইটার কি কষ্ট। আপনি যদি নিয়মিত ঘরের বাইরে প্রস্তুত করা ভাজাপোড়া খাবার বেশি খান, তাহলে ধরে নিবেন যে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এই কারনেই হচ্ছে। গ্যাস্ট্রিকে ভুগলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করাতে হবে। অনেকে হুট করে গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট খেয়ে ফেলেন। এতে কিন্তু হিতে বিপরীত হয়।
যে খাবার আপনি খান, সেটা খাবেন বুঝে শুনে। আপনার পেটের পিএইচ লেভেল আছে, যেটা ঠিক মত থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম হয়। খালি পেটে বেশিক্ষন যদি থাকেন এবং এটা যদি দীর্ঘসময়ের জন্য হয়, তাহলে ধরে নিবেন যে, আপনি গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকিতে আছেন।
আসুন জেনে নেই এই ৪ টি খাবার, যেগুলি নিয়মিত সেবনে গ্যাস্ট্রিক থাকবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে।
১) এপল সিডার ভিনেগার:
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে এপল সিডার ভিনেগারকে বলা হয় অব্যর্থ ওষুধ। এই ভিনেগার যেমন ওজন কমাতে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করে, তেমনি পেটের জ্বালাপোড়া, যেটা কিনা গ্যাস্ট্রিকের কারনে হয়ে থাকে, সেটা অনেকখানি কমায়। আপনার হজমের অবস্থা যদি দুর্বল হয়, তখন পেটে গ্যাস হয়, জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাসায় এপল সিডার ভিনেগার এর সাথে মধু এবং পানি যদি আপনি মিশিয়ে পান করেন, তাহলে হজমের সমস্যায় অনেক উন্নতি হবে। এটা একদম প্রমানিত।
২) আদা:
আদা আমাদের উপমহাদেশে বেশ প্রচলিত ঠাণ্ডার চিকিৎসার মহৌষধ বলে। কিন্তু অনেকেই আমরা আদার যে বিশেষ গুন আছে, সেটা জানি না। আদা আপনার পেটের ভেতরের গ্যাসের সমস্যা সমাধান করে। পেটের ভেতর হজমে সমস্যার ফলে যে গ্যাস জমে, আদা সেটা খুব দ্রুত সরিয়ে দেয়।
যে সব খাবারে একটু বেশি প্রোটিন থাকে, সেই সব খাবার খেলে গ্যাস হবার সম্ভাবনা থাকে বেশি। আদা এই সমস্যা সমাধান করে প্রাকৃতিক ভাবে।
৩) আনারস:
জ্বি, আনারস নিয়মিত খেলে পেটের সমস্যা তো দূর হবেই, সাথে দূর হবে গ্যাস্ট্রিকের এবং হজমের সমস্যা। আনারসে ব্রোমেলেইন নামে একটা উপকারি এনজাইম আছে, যেটা খাদ্যের যে প্রোটিন আছে, সেগুলি হজমে বেশ সহায়তা করে।
৪) পেপে: নিয়মিত পেপে খেয়েছেন, কিন্তু উপকার পান নি, এমন মানুষ একজনও পাওয়া যাবে না। পেপে যে শুধু গ্যাস্ট্রিক কমায়, তাই না, পেপে আপনার পেট কে রাখে ঠাণ্ডা। এছাড়া নিয়মিত পেপে খেলে কোষ্ঠ অনেক ভাল ভাবে পরিস্কার হয়ে যায়। পেটের ভেতর যে গ্যাস জমে, পেপে সেটা দূর করে দেয়।
নিয়মিত আদা, এপল সিডার ভিনেগার, পেপে এবং আনারস খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিক থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে।