হেফাজতে ইসলামের হরতালে বাধা দেয়ার দুঃসাহস যাতে সরকার না দেখায়,বাধা দিলে লাগাতার কর্মসূচি
চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। এই হরতালে কোন বাধা দেয়া হলে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন নেতারা। শনিবার বিকালে রাজধানীর খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতারা। হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, সারা বিশ্বের অনেক দেশের সরকার প্রধান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশে এসেছেন। আমরা কারো আগমনে কোন কথা বলিনি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিলের জন্য আমরা সর্বদা আহ্বান জানিয়েছি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে সারাদেশ ব্যাপী আন্দোলন চলছে। গতকাল আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে কর্মসূচিতে সারাদেশে বিশেষ করে হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং বায়তুল মোকাররমে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমাদের ৫ জন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল (রোববার) দেশব্যাপি হরতাল হবে।
আমাদের এই হরতাল অন্যকোন উদ্দেশ্যে নয়। আমাদের এই তাজা প্রাণগুলো কেন গেল? তাদের উপর কেন বুলেট চালিয়ে হত্যা করা হলো। বায়তুল মোকাররমে অমানুষিক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেখানে সরকারের কিছু গুন্ডা বাহিনী হামলা চালিয়েছে। আমাদের আন্দোলনতো সরকারের বিরুদ্ধে না। তাহলে সরকার কেন বাধা দিচ্ছে। আমি দেশবাসীকে আগামীকালের হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য আহবান জানাচ্ছি।
যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আমরা আগামীকাল সারাদেশে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করব। আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতালে যাতে কোনো বাধা না দেয়া হয় এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষ করে এ বিষয়ে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, হরতালের আওতামুক্ত থাকবে সকল জরুরি সেবাগুলো। সরকার এবং সরকারি দলের প্রতি আমাদের বিশেষ আবেদন হচ্ছে, আমাদের হরতালের সরকার এবং সরকারি দলের হেলমেট বাহিনীকে রাজপথে দেখতে চাই না।
মামুনুল হক আরও বলেন, আগামীকাল সরকার এবং সরকারদলীয় কোনো কর্মসূচি নেই। তাই সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতালে যাতে কোনো বাধা দেয়া না হয়। গতকাল এবং আজকে সরকার দলের লোকেরা যেভাবে বাধার সৃষ্টি করেছে, হামলা করেছে, এমন পরিস্থিতি যদি আগামীকাল হয় তাহলে আরো উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি যে কোনো কারণে উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে। এমন অনপ্রিবেত ঘটনা যদি ঘটে তাহলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। হেফাজতে ইসলামের হরতালে বাধা দেয়ার দুঃসাহস যাতে সরকার না দেখায়। হরতালে যদি কোন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটানো হয় তাহলে হেফাজতে ইসলাম প্রয়োজনে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।