শিশুটিকে হত্যার পর লাশের পাশেই শারীরিক সম্পর্ক করেন রিমি ও হোসেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা থেকে নিখোঁজের একদিন পর কাশফিয়া ওরফে শেফা (৯) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের নোয়াহাটি এলাকার একটি ঝোপ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত কাশফিয়া সৈয়দটুলা গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমি আক্তার রিতু (২২), হোসেন মিয়া (১৮), জামির মিয়া (১৭) নামে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
শিশু কাশফিয়া শেফা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) জাহিদ হোসাইনের কাছে তারা জবানবন্দী দেন। এর আগে তারা পুলিশের কাছেও সত্যতা স্বীকারসহ হত্যাকাণ্ডের পরের কিছু ঘটনার বর্ণনা দেন। নিহত শিশু কাশফিয়া সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের ফার্নিচার ব্যবসায়ী আব্দুল কাদেরের মেয়ে। এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় সৈয়দটুলা গ্রামের নোয়াহাটি এলাকার একটি ঝোপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জবানবন্দীতে আটক হোসেন মিয়া ও রিমি আক্তার জানান, মূলত শিশুর কানে থাকা স্বর্ণের দুল নেওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নেওয়া হয়। দুল নেয়ার সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে প্রথমে গলা চেপে ও পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরে একটি ঝোপে নিয়ে লাশ ফেলে দেন। তারপর রিমি আক্তার খুব স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি গিয়ে গোসল করে ঘুমিয়ে পড়েন।
এর আগে সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কাশফিয়া শেফা নিখোঁজ ছিল। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। শিশুটি কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী রিমি আক্তার নামে এক তরুণীর সঙ্গে খেলাধুলা করতো। কয়েকদিন আগে কাশফিয়ার কানের দুল নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিল রিমি আক্তার। কাশফিয়াকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা রিমিকে সন্দেহ করেন।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা রিমি আক্তারকে কাশফিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে সে অস্বীকার করে। পরে স্থানীয়দের চাপে বুধবার সকালে গ্রামের সাবেক এক চেয়ারম্যানের বাড়ির ঝোপঝাড়ে কাশফিয়ার লাশ দেখিয়ে দেয় সে।
তিনি আরো বলেন, ওই তরুণীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ দেখিয়ে দিলেও রিমি হত্যা করেছে কিনা বা সে কিভাবে লাশটির কথা জানতে পারলো, এ বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে