‘নায়িকা হতে হলে শুতে হবে’, রগরগে দৃশ্যে ঢাকাই সিনেমা ‘অপ্রদর্শনযোগ্য’
সব নায়িকাই কি নায়িকা হতে গিয়ে শয্যাসঙ্গী হয়?
এক সুপারস্টারের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘মেকআপ’ সিনেমা। এটি পরিচালনা করেছেন অনন্য মামুন। সম্প্রতি সেন্সর বোর্ডে প্রদর্শিত হয় এই সিনেমা। চলচ্চিত্রশিল্পকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনার অভিযোগে চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সেন্সর বোর্ড। সেন্সর বোর্ডের সচিব মমিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠিয়ে প্রযোজক-পরিচালককে বিষয়টি অবহিত করা হয়। ফলে সিনেমাটি দেশের কোনো প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা যাবে না। তবে বিধি অনুসারে চিঠি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে সিনেমাটির প্রযোজক-পরিচালকের।
তাহলে কী আছে এই মেকআপ সিনেমায়?
সিনেমাটি নিষিদ্ধ হওয়ার পরেই এটি নিয়ে চলতে শুরু করেছে আলোচনা-সমালোচনা। স্বভাবতই কৌতূহল তৈরি হয়ে যায় সবার মনে। আসলে কী আছে এই সিনেমায়?
সিনেমাটি প্রসঙ্গে জানা যায়, শোবিজ জগতের কিছু লুকোছাপা গল্পই এই ছবির মুখ্য কাহিনি। সম্প্রতি সময়ে পুরো পৃথিবী যখন #মিটু নিয়ে পরে ছিলো, সে সময় দিব্যি গায়ে পানি লেগে বেড়িয়েছে দেশিয় মিডিয়া জগত। বিষয়টি থিতিয়েই গিয়েছিল। কিন্তু মেকআপ সেই বিষয়টিকে জীবিত করে তুলেছে। কাস্টিং কাউচ বিষয়টি মেকআপ চলচ্চিত্রের একটি বিতর্কিত বিষয়।
এখানে বলা হয়েছে, ‘নায়িকা হতে হলে শুতে হবে’। এই সংলাপের তীব্রভাবে বিরোধিতা করা হয়েছে। সব নায়িকাই কি নায়িকা হতে গিয়ে শয্যাসঙ্গী হয়? এমন প্রশ্ন সামনে চলে আসে!
অনন্য মামুন তার এই ছবি সম্পর্কে বলেন, আমি আসলে বুঝতেছি কী হয়েছে। আমার কাছে কোনো লিখিত চিঠি আসেনি। আমি শুনেছি কিছু কিছু দৃশ্যে আপত্তি রয়েছে। যদি আপত্তি থাকে, তাহলে সেটাকে সংশোধন করতে হবে। তবে ছবিটি মুক্তি পাবে। আমি বুঝতে পারছি, মৌলিক গল্পের ছবি বানালেই সমস্যা। লুতুপুতু প্রেমের গল্প বানালে সমস্যা হবে না নিশ্চয়ই।
ছবির গল্প ও আপত্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে সেন্সর বোর্ডের সদস্য অরুণা বিশ্বাস বলেন, কিছু ব্যাপার আমরা এড়িয়ে চলতে চাই। সামাজিক কারণে কোনো কোনো ব্যাপার অন্তরালে থাকে। কিছু নোংরা বিষয় এই সিনেমায় নিয়ে আসা হয়েছে, যা কোনোভাবেই প্রগতিশীলতার চিত্র প্রকাশ করে না। আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংসের মুখে, এখন ভালো কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ করা দরকার। বেডরুম হলেও কথা ছিল, ওয়াশরুমের ভেতরের গল্প বলার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব নিশ্চয়ই ভালো কোনো উদ্দেশ্যে বানানো নয়। আমরা এমন ছবি মুক্তি দেয়ার পক্ষে নই। আমাদের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে, আমরা মতামত দিয়েছি। বাকিটা সিদ্ধান্ত হলে জানা যাবে।