বিডিআর হত্যাকাণ্ডের দিনে খালেদা জিয়া, যিনি দিনের ১২টার আগে ঘুম থেকে ওঠেন না, তিনি কেন ভোরে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে চলে গিয়েছিলেন? তিনি কেন এদিন তারেক রহমানের সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ বার কথা বললেন? এই রহস্যগুলো বের হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই মুখোশ উন্মোচিত হবে কারা এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছিল।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুরপাড়স্থ বাসভবনে এসব প্রশ্ন তুলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুরপাড়স্থ বাসভবনে সাংবাদিকরা ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার করবেন’ বলে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী আরও বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে নয় শুধু পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নিরিখেও এতবড় একটি হত্যাকাণ্ডে এত আসামির বিচার কম হয়েছে। আমাদের দেশের ইতিহাসেও এত আসামির বিচার আর হয়নি। বিশ্ব প্রেক্ষাপটেও এতগুলো আসামির বিচার কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তখন সদ্য সরকার গঠন করেছিল, দুই মাসও পূর্তি হয়নি, প্রায় দেড় মাসের মাথায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল আর এই হত্যাকাণ্ড সংঘটনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে অস্থিতিশীল করা’- উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
চসিক নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের মামলার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে মামলা যে কেউ করতে পারে, মামলা করার অধিকার সবারই আছে, তবে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে বিএনপিকে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডা. শাহাদাতকে আমি অনুরোধ জানাব তার দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রশ্ন রাখার জন্য, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্থ-সবল থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতারা কেউ চট্টগ্রামে এলেন না কেন। এমনকি চট্টগ্রামে যেসব কেন্দ্রীয় নেতা আছেন, তারাও কিন্তু নির্বাচনের সময় তার পক্ষে নামেননি। আমীর খসরু মাহমুদকে দু-একবার দেখা গেলেও তা প্রেস কনফারেন্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ডা. শাহাদাতকে বলব এই প্রশ্নগুলো তার দলের নেতাদের কাছে করতে।