তারকা ক্রিকেটারদের ছড়াছড়ি। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের কথা বললে দলটির বিশ্বমানের পর্যায়ে। সেই দল কিনা টেস্টে রীতিমতো নাকাল হলো অ্যাডিলেডে? প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার পেস তোপে চুরমার ভারত। মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস। টেস্ট ইতিহাসে ভারতের এটি সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। আর সব মিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম সর্বনিম্ন। ভারতের আগের লজ্জার রেকর্ডটি ছিল প্রায় ৪৪ বছর আগে, ইংল্যান্ডের সাথে। ১৯৭৪ সালে ইংলিশদের সাথে ৪২ রানে অল আউট হয়েছিল ভারতীয়রা।
দীর্ঘ চার দশক পর লর্ডসের সেই ভুত যেন তাড়া করেছিল কোহলিদের। কামিন্স আর হ্যাজলউডের আগুনমুখো বোলিংয়ে অ্যাডিলেডে তাসের ঘরের মতো ভাঙল ভারতের ব্যাটিং দেয়াল। লজ্জার রেকর্ডে চুরমার কোহলিদের তনুমন।
প্রথম ইনিংসে ২৪৪ রান করেছিল ভারত। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ১৯১ রানে অল আউট। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ৯ রান করেছিল ভারত। শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে কোহলিরা যেন গেলেন আর এলেন। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের টার্গেট দাড়ালো মাত্র ৯০ রানে। লাঞ্চ বিরতির আগ পযন্ত এ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ১৫ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচের তৃতীয় দিন ভারতকে অলআউট করতে দেড় ঘণ্টাও সময় নেয়নি অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স ও হ্যাজলউডের নিখুঁত লাইন-লেন্থের সামনে কোনও জবাবই খুঁজে পাননি চেতেশ্বর পুজারা-বিরাট কোহলিরা।
হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন ভারতের শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শামি। ফলে কার্যত তাদের ১০ উইকেটের পতন ঘটেনি। তবে ৩৬ রানেই শেষ হয়েছে তাদের ইনিংস। যা কি না টেস্ট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ এবং চলতি দশকে এর চেয়ে কম রানে থামেনি আর কোনও দলের ইনিংস।
ভারতের পক্ষে ব্যাট হাতে ন্যুনতম প্রতিরোধ গড়তে পারেননি কোনও ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ৯ রান করেছেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল, বল খেলেছেন ৪০টি। হানুমা বিহারি করেছেন ৮ রান। রানের খাতা খোলার আগেই থেমেছেন তিনজন। টেস্ট ক্রিকেটে দলের কোনও ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে যেতে না পারার মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা এটি। এর আগে ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন লজ্জায় পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচ ওভারে ৮ রানে পাঁচ উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড। ২১ রানে চার উইকেট নেন কামিন্স।