জীবনে সু’খী হতে চাইলে যে ৪টি বি’ষয়ে কখনো মুখ খুলবেন না – চাণক্য নীতি’-র পুরোটাই যে নঞর্থক এমনটা বাবলে ভু’ল হবে। অনেকেরই ধারণা,কৌটিল্য বি’ষ্ণুগু’প্ত চাণক্যের নামে যে নীতিবাক্যগু’লি ভা’রতে দালা রয়েছে, তার সিংহভাগই তি’ক্তরসাশ্রিত। প্রায় প্রতিটি কথনেই উঠে এসেছে নি’ষেধ,প্রতিটি উপদেশেই সাবধানবাণী শোনানো হয়েছে। সে কথা অস্বীকার করা না গেলেও এটা মানতে হবে, ‘চাণক্য নীতি’ নামে পরিচিত এথিক্যাল কোড-এ বেশ কিছু ইতিবাচক বস্তুও বিদ্যমান। তার মধ্যে অন্যতম হল জীবনে সু’খী হওয়ার জন্য প্রদত্ত চাণক্য-নির্দেশ।মহামতি চাণক্য নাকি সু’খী জীবনের জন্য মাত্র চারটি সূত্রকেই পালনীয় বলে মনে করেছিলেন তাঁর উপদেশমালায়।
‘চাণক্য নীতি’ অনুযায়ী সু’খী জীবন লাভের জন্য কতগুলো বি’ষয়কে আলোচনাবৃত্তের বাইরে রাখাটাই স’ঙ্গত। দেখা যাক কী’ সেগুলো। • অর্থক্ষ’তি— চু’রিই হোক আরবাণিজ্যক্ষ’তিই হোক, আর্থিক বিপর্যয়ের কথা ব্যক্তিগত স্তরে থাকা’টাই বাঞ্ছনীয়। কারণ, আর্থক
বিপর্যয়ের কথা জনসমক্ষে এলে জনগণ সহনুভূতি জানাতে পারে। কিন্তু প্রকৃত সাহায্য কখনওই করবে না। নিজেকে অন্যের করুণার পাত্র করে তুলে কী’ লাভ? দারিদ্র্য কখনওই সম্মানজনক নয়।
• ব্যাক্তিগত সমস্যা— একান্ত ব্যক্তিগত সমস্যার কথাও পাঁচকান না হওয়াই ভাল। ব্যক্তিগত কথা জনসমক্ষে উঠে এলে অন্যের কাছজীবনে সু’খীউপহাসের পাত্র হয়ে ওঠার সম্ভাবনা যথেষ্ট। • স্ত্রী’র চরিত্র— নিজের পত্নীর চরিত্র নিয়ে ঘনিষ্ঠজনের কাছেও মুখ না-খোলাই ভাল।
বুদ্ধিমান মানুষ কখনওই এমন কাজ করেন না। • নিম্নপদবাচ্য কোনও ব্যক্তির কাছে অ’পমান— অধস্ত’ন কোনও ব্যাক্তির কাছে অ’পমানিত হলে কিলখেয়ে খিল হ’জমের কথাই বাৎলেছেন চাণক্য।
এমন কথা চাউর হলে অ’পমান বাড়ে বই কমে না। এমন ক্ষেত্রে অ’পমানের স্মৃ’তি মনের ভিতরে পুষে রাকতে হয়। প্র’তিশোধের জন্য অ’পেক্ষা করতে হয়।