আওয়ামী লীগরাজনীতি

আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধেও অ্যাকশন

কাদের বলেন, ‘দলের প্রার্থীকে মেনে নিতে হবে। যারা বিরোধিতা করবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে বিদ্রোহী প্রার্থীর পাশাপাশি তাদের পক্ষে থাকলে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদেরও ছাড় দেবে না ক্ষমতাসীন দল। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বলেছেন, দল যাকে প্রার্থী করেছে তাকে মানতে হবে। বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভায় যে ভোট হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগ যে কয়েকটি এলাকায় হেরেছে তার প্রতিটিতেই জিতেছেন দলের বিদ্রোহীরা। চলতি মাসে এবং আগামী মাসে আরও বেশ কিছু এলাকায় নির্বাচন হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন বেশ কিছু স্থানীয় সরকার বিশেষ করে পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে। আমরা এখন পর্যন্ত ২৫টি মনোনয়ন দিয়েছি, আরও ৬১টি শিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানে যে প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, তা জেনেশুনে যাচাইবাছাই করেই নিতে হবে।’

আগে যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হবে না জানিয়ে কাদের বলেন, ‘দলের প্রার্থীকে মেনে নিতে হবে। যারা বিরোধিতা করবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, দলের এমপি, মন্ত্রী এবং জেলা পর্যায়ের বা কেন্দ্রীয় নেতা হয়ে যদি কেউ এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দিয়ে থাকেন, তাদের ব্যাপারেও কিন্তু দল ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেবে।’

দলের বিভিন্ন পর্যায়ে যে কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে, তাতে সংক্ষুব্ধ হলে বা কারও অভিযোগ থাকলে সভাপতির কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে বলেন কাদের।

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ধর্মীয় ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং দেশের প্রতিটি বিভাগীয় সদর দফতরে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। এই আয়োজনে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।

এ সময় বিএনপির আশকারা, প্রশ্রয় আর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননার মতো অপরাধ করেছে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।

গণতন্ত্রহীনতায় উগ্রবাদের উত্থান ঘটছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন তিনি। বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমান কাদের সৃষ্টি, সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা, ময়মনসিংহের অলকা, ছায়াবানী, পূরবী ও অজন্তা সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা কাদের আমলে হয়েছিল- ফখরুলের কাছে তাও জানতে চান কাদের।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে ফখরুলের মন্তব্যেরও জবাব দেন কাদের। বলেন, ‘বিএনপির মুখে মানবাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো।’

জিয়াউর রহমানের আমলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করা, নিরাপদে দেশ ত্যাদের সুযোগ করে দেয়া, হত্যার বিচার বন্ধে সংবিধানে দায়মুক্তির বিল সংযোজনের কথাও তুলে ধরেন কাদের।

বলেন, ‘তারা আজ বিচার আর মানবাধিকারের কথা বলে! ২১ বছর আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচার পর্যন্ত চাইতে পারিনি। ক্ষমতায় গিয়ে অপারেশন ক্লিনহার্টে হত্যাকারীদের পরিবার যাতে বিচার চাইতে না পারে তাই খুনিদের দায় মুক্তি দেয়া হয়েছিল। তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবাধিকার?

‘২১ শে আগস্ট রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে যে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল, তখন কোথায় ছিল এই মানবাধিকারের বুলি? আগুন সন্ত্রাসে পেট্রল বোমায় জীবিত মানুষ পুড়িয়ে মারা কোন মানবাধিকার আমি জানতে চাই’- মির্জা ফখরুলকে প্রশ্ন রাখেন কাদের।

Back to top button