ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে ধর্ষণ মামলার আসামিসহ বঙ্গবন্ধুর খুনির আত্মীয়-স্বজনদের জায়গা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত একাধিক মামলার আসামির নামও রয়েছে কমিটিতে। এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।
সম্প্রতি কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের ৬২ সদস্যের কমিটি ঘোষণা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিমকে। অভিযোগ- ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি আর ২০০১ সালে বিএনপি ও গণফোরাম করে আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন ইউসুফ আলী।
নতুন কমিটিতে সদস্য হিসেবে জায়গা পেয়েছেন এলাকায় ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত আবু সিদ্দিক। নানা অভিযোগে কেরাণীগঞ্জ থানায় তার নামে রয়েছে একাধিক মামলা। শুধু তাই নয় কমিটিতে পদ বাগিয়ে নিয়েছেন ধর্ষণ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি নাজমুল জাহান রিপনও।
একইভাবে কমিটিতে ঢুকে পড়েছেন হযরতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক নেতা ইসলাম সেলিম। এই সেলিম আবার বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর ডালিমের ফুফাতো ভাই।
ধর্ষণ মামলার আসামিসহ বিতর্কিতদের কমিটিতে অন্র্তভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। পদ বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কমিটি বাতিলের দাবি তাদের।
তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নবগঠিত কমিটির এক সদস্য। কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ আহবায়ক কমিটি সদস্য আবু সিদ্দিক বলেন, ‘মিডিয়ায় অনেক কিছু বলা হচ্ছে আসলে এটা সত্য না।’
জেলা আওয়ামী লীগ নেতারাও বলছেন অভিযোগ পেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা। আওয়ামী লীগ ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান জানান, বিতর্কিত কেউ কমিটিতে আছে, কোন প্রমাণ বা থানা থেকে কোন লিস্ট আমার কাছে আসেনি। যদি এই ধরণের কোন প্রতিবাদ আসে অবশ্যই আমরা কেন্দ্রে পৌঁছাবো। যাতে তাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এদিকে নবগঠিত ঢাকা জেলার বেশির ভাগ থানার আহবায়ক কমিটিতে বিতর্কিত লোকজনকে জায়গা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।