২৮৭ তরুণীর স’র্ব’না’শ করেছেন জাকির
জাতীয় প’রিচয়পত্র অনুযায়ী তার নাম রাব্বী হোসেন চৌধুরী। তবে প’রিচয়পত্রটি ন’কল, নিজের ইচ্ছেমত ত’থ্য যুক্ত ক’রে বানানো হয়েছে।কখনো তিনি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের এমডি, কখনোবা ক’রপোরেট হাউসের জিএম। চলাফেরায় বেশ ধোপদুরস্ত, কথাবার্তায় ঝলকে উঠে হাই ক্লাস সোসাইটির ফুলঝুরি। আর এসব অভিজাত্যপূর্ণ নাম-ধাম-পোশাক ও চাল-চলনের নেপথ্য উদ্দেশ্যটি খুবই কুৎ’সিত। সমাজের প্রতিষ্ঠিত না’রীরা তার টা’র্গেট। কথার মোহে আকৃ’ষ্ট ক’রে তিনি তরু’ণীদের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব ক’রতেন। পরে বিয়ের প্র’লোভন দেখিয়ে ধণ।
এটি প্রাথমিক পর্ব। পরবর্তী পর্ব- ভ’য়ভী’তি দেখিয়ে ভু’ক্তভো’গীর কাছ থেকে অর্থসহ মূল্যবান সম্পদ হা’তিয়ে নেওয়া। দু-একজন নয়, এ পর্যন্ত ২৮৭ তরু’ণীকে সর্বস্বান্ত ক’রেছেন তিনি। এহেন পাপের পর প’রিশুদ্ধ হতে সৌদি আরবেও যাওয়ার ইচ্ছে ছিল তার। তবে তার আগে পা’পক’র্মের ঝোলাটি আরো ভারী ক’রে নিতে চেয়েছিলেন, চেয়েছিলেন ৭০০ তরু’ণীকে ধ*ণের পরই সৌদি আরবে যাবেন তিনি। বি’কৃত মা’নসিকতার মা’রাত্মক ধূর্ত এ রয়েল-চিটারের প্রকৃত নাম জাকির হোসেন বেপারি।
প্র’তারণা ক’রে বিয়ে, তারপর ভু’ক্তভো’গীর সর্বস্ব হা’তিয়ে নেয়ার অ’ভিযোগে গত বছরের ৮ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রে’প্তার ক’রে পু’লিশ। সে দিনই ধ*ণের অ’ভিযোগে এক তরু’ণী মিরপুর মডেল থা’নায় জাকিরের বি’রুদ্ধে মা’মলা ক’রেন।
এ সময় থা’নায় উপস্থিত ছিলেন জাকিরের প্র’তারণার শিকার আরো চার না’রী। তারা সবাই চাক’রিজীবী। পরবর্তী সময়ে পু’লিশের জি’জ্ঞাসাবা’দে জাকির তার প্র’তারণাকান্ডে অনেক কিছুই ফাঁ’স ক’রে দেন। তবে এরপর ওই মা’মলা থেকে জা’মিনে বের হয়ে ফের প্র’তারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন জাকির।মি’থ্যা বিয়ের পর এক তরু’ণীর সর্বস্ব হা’তিয়ে নেওয়ার অ’ভিযোগে ফের শ্রীঘরের বাসি’ন্দা হয়েছেন এ প্রতা’রক।
তার বি’রুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থা’নায় মা’মলা ক’রেছেন মণিপুরি পাড়ার একটি ছাত্রী হোস্টেলের ২৬ বছর বয়সী এক তরু’ণী। অ’ভিযোগের ভিত্তিতে সে দিনই জাকির ও তার সহযোগী জায়েদা আক্তার শাপলাকে গ্রে’প্তার ক’রে তেজগাঁও থা’না পু’লিশ।
বৃহস্পতিবার মা’মলার তদ’ন্ত ক’র্মক’র্তা এসআই তৌফিক আহমেদ জাকিরের ৫ দিনের রিমা’ন্ড চাইলে আ’দালত তার ২ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর ক’রেন। রি’মান্ড না চাওয়ায় শাপলাকে কা’রাগারে পাঠানোর নি’র্দেশ দেন আ’দালত।
জানা গেছে, প্র’তারণার ফাঁ’দ পেতে তরুণীদের সর্বস্ব লু’টে নিতে জাকিরের রয়েছে এক বিশাল সি’ন্ডিকেট। সং’ঘব’দ্ধ ওই চক্রে রয়েছে নক’ল কাজী ও মৌলভি। এ ছাড়া চক্রের কিছু না’রী-পু’রুষ নিজের মা-বাবা ও ভাইবোন বানিয়ে জাকির তরু’ণীদের সঙ্গে প’রিচয় ক’রিয়ে দিতেন।
তাদের সঙ্গে কথা বলিয়ে ভু’ক্তভো’গীদের বু’ঝতেই দিতেন না কী ভ’য়ঙ্কর প্র’তারণার ফাঁ’দে ফেলা হচ্ছে তাদের। এভাবে বিয়ের নামে গত দুই বছরে জাকির ২২ ব্যবসায়ী ও চাক’রিজীবী না’রীকে ধ*ণ ক’রেছেন। এরপর অ’ন্তরঙ্গ ছবি তুলে সেগুলো ইন্টারনেটে ছা’ড়ার হু’মকি দিয়ে
তাদের কাছ থেকে হা’তিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ।সম্প্রতি ফেসবুকে বিয়ের নামে আরেকটি প্র’তারণার ফাঁ’দ পেতেছিলেন জাকির। অবশ্য এবার তিনি নিজেই ফাঁ’দে পড়েন, আগেভাগেই প্র’তারণার শিকার না’রী বুঝে ফেলেন
জাকিরের উদ্দেশ্য। ওই তরু’ণী জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে গত ৩১ অক্টোবর জাকিরের সঙ্গে তার প’রিচয়। এর পর ভু’লিয়ে-ভা’লিয়ে তার সঙ্গে জাকির প্রেমের স’ম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত ৭ নভেম্বর নিজস্ব সি’ন্ডিকেটের হু’জুর ডেকে তাকে বিয়েও ক’রেন। হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যান তিনি ওই তরু’ণীকে এবং তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ক’রেন বেশ কয়েকবার। শুধু তাই নয়, নানা বি’পদ বা সম’স্যার কথা বলে জাকির ওই তরু’ণীর কাছ থেকে ইতোমধ্যেই প্রায় ৪৫ হাজার টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন।
জাকিরের প্র’তারণার শিকার রাজধানীর গুলশান, উত্তরা, মিরপুর, বারিধারা, মালিবাগ, দক্ষিণখান, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বসবাসকারী ১৭ ভু’ক্তভো’গী তরু’ণীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই জাকিরকে শ’নাক্ত ক’রে তাকে প্র’তারক হিসেবে চিহ্নিত ক’রেছেন।
ভু’ক্তভো’গী তরু’ণীদের মাধ্যমে পাওয়া গেছে জাকিরের তিনটি বিয়ের কাবিনসহ তার প্র’তারণায় ব্যবহৃত অ’সংখ্য ছবি, ফেসবুকের চ্যাটবক্সে কথোপকথনের স্ক্রিনশট ও ভিডিও ক্লিপ। পু’লিশের কাছেও বিয়ের নামে প্র’তারণার চাঞ্চ’ল্যক’র ত’থ্য জানিয়েছেন জাকির।
এদিকে জাকিরের বি’রুদ্ধে মিরপুর এলাকার ভু’ক্তভো’গী যে তরু’ণী মা’মলা ক’রেছেন, তিনি অ’ভিযোগ ক’রেন ওই প্র’তারকের সি’ন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্নভাবে তাকে মা’মলা তুলে নিতে হু’মকি দিচ্ছেন। না হলে তার মুখ অ্যাসিড দিয়ে ঝ’লসে দেয়া হবে এবং অ’ন্তরঙ্গ ছবি ইন্টারনেটে ছে’ড়ে দেয়া হবে বলে হু’মকি দেয়া হয়েছে।