যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে না দিলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন কমিটি থেকে বঞ্চিত যুবদলের সাবেক নেতাকর্মীরা। শনিবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক বৈঠকে তারা এ হুঁশিয়ারি দেন। বঞ্চিত নেতাকর্মীরা জানান, ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি কমিটি গঠন করা হয়। তিন বছর পরে ১১৪ জন এর আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয় নাই। দেশের এই পরিস্থিতিতে যুবদলের মত একটি দলে মাত্র ১১৪ জনের আংশিক কমিটি দিয়ে চলতে পারে না।
তারা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যারা আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদেরকে বাদ দিয়ে যারা আন্দোলনের সাথে সক্রিয় না, তাদের পদায়ন করা হয়েছে। তাদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থান দেওয়া হয়েছে। অথচ যারা বেশি মামলা, হামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।
তারা দাবি জানিয়ে আরও বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগে ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে রাখা হোক। অন্যথায় বঞ্চিত নেতাকর্মীরা আন্দোলন করতে বাধ্য হবে। এর দায়ভার বর্তমান কমিটির ওপর পড়বে।
যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব বলেন, ‘এই মুহূর্তে রাজনীতির বাস্তবতায় আমরা যুবদলের অফিসে যেতে পারছি না। তারপরও আমরা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি যে কোন সময় তা ঘোষণা করা হবে। তবে সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ সম্পর্কে জানা নেই বলে জানান নীরব।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মইনুল ইসলাম হিটু, তাজ উদ্দিন মাহমুদ সাগর, সৈয়দ আবেদিন প্রিন্স, গিয়াস উদ্দিন মামুন, সেলিম রেজা, এম এ মিঠু, রাসেল মিয়া, মঈন উদ্দিন মজুমদার, সাইফ আলি খান, আবু বক্কর সিদ্দিক, মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, নুরুল ইসলাম, আহসানুল্লাহ তুষার, আলাউদ্দিন খান, ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান, মো. মুক্তার হোসেন সিকদার, জাহাঙ্গীর আলম খান, জামাল হোসেন মোল্লা, আল আমিন খান, রাসেল দেওয়ান, মাসুদ সরকার, এস এম কামরুল ইসলাম প্রমুখ।