”ভ্যাকসিন নিয়ে এমন হাহাকার আমি আগে দেখিনি। যেন এই ভ্যাকসিন না পেলে পৃথিবী ধংস হয়ে যাবে। আদলে তো সেরকম কোনো ব্যাপার নেই। এখন করোনা মহামারী শেষের দিকে। এই সময় ভ্যাকসিনের কোনও প্রয়োজন আর নেই।” কথাগুলো যিনি বলেছেন তিনি একজন নামকরা বিজ্ঞানী। নাম ড. মাইকেল ইয়োডেন। মার্কিন সংস্থা ফাইজার ফার্মাসিউটিক্যাল দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিন করোনাকে রুখতে ৯০ শতাংশ কার্যকর। তৃতীয় দফার ট্রায়ালে সাফল্য এলেই এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব থেকে জটিল রোগ তারা সারিয়ে দেবে। এই ফাইজার ফার্মাসিউটিক্যাল- সাবেক প্রধান ড. ইয়োডেন।
৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ড. ইয়োডেন এলার্জি ও শ্বাসযন্ত্রের একাধিক রোগের বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি মনে করেন, করোনা মহামারী রোধ করার জন্য এখন আর ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেছেন, ”যাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম, তাদের ভ্যাকসিন দিয়ে কী লাভ! কয়েক কোটি মানুষ তো সুস্থ আছেন। তাদের কেন টীকাদিতে হবে! তাও এবার এমন ভ্যাকসিন যেটার ট্রায়াল ব্যাপকভাবে মানব শরীরে হয়নি! এমন তো হতে পারে, এই ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে সুস্থ মানুষের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হল! তখন তো হিতে বিপরীত হবে।”
ড. ইয়োডেন আরো বলেছেন, ”ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে জনসংখ্যার একশো শতাংশ তো সংবেদনশীল ছিল না। সার্স কোব-২ ভাইরাস নতুন হলেও করোনা কিন্তু নতুন কোনও ভাইরাস নয়। এর আগে কেউ করোনার আক্রান্ত হলে তার টি-সেল ইমিউনিটি মজবুত হবে।
সেক্ষেত্রে তাকে নতুন করে টীকা দেওয়া হবে কেন! এমনকি করোনার সঙ্গে উপসর্গ মেলে এমন ভাইরাসগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সেসব আক্রান্তদের শরীর আগের থেকে সক্রিয় থাকবে। এক্ষেত্রে আমার করোনা টেস্ট আরটি-পিসিআর নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।”