র্যাবের অভিযানে বিপুল অর্থসহ গ্রেফতারের পর গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়ে আলোচনায় উঠে আসা মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনিরের’ জমি দখল ও জালিয়াতিতে সহযোগিতা করতো সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও ভিআইপি ব্যক্তিরা। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে গোল্ডেন মনিরের অপকর্ম, সহযোগীদের বিষয়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে চমকপ্রদ নানা তথ্য।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।
তিনি বলেন, গোল্ডেন মনির অনেক আগেই স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করে দেয়। স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করে জমি দখল ও জালিয়াতির কাজ শুরু করে মনির। তার এই জমি দখল ও জালিয়াতিতে সহযোগিতা করতো সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও ভিআইপি ব্যক্তিরা।
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, গোল্ডেন মনিরের মদদদাতা ও সহযোগীদের তথ্য মিলছে গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করছে পুলিশ। তিনি ঘুষ লেনদেন করতো হাজার টাকায় নয়, লাখ থেকে কোটি টাকায়।
যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, মনিরের বিষয়ে দায়ের হওয়া তিন মামলায় এবং মনিরের সঙ্গে জড়িত অন্য অপরাধীদের বিষয়ে অন্য সংস্থা তদন্ত করতে চাইলে তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গোল্ডেন মনিরের মামলায় অপ্রাসঙ্গিক বিষয় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। তার উত্থানের পেছনে সরকারি কর্মকর্তাসহ ভিআইপি অনেকে রয়েছে।
অবৈধ অস্ত্র মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মনিরের বিরুদ্ধে এই তিন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে গোয়েন্দা কার্যালয়ে। গোয়েন্দারা বলছেন, জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য মিলছে।
গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাত ১০টার থেকে শনিবার (২১ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে র্যাব গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতার করে র্যাব।