ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদাহ রাজধানী তেহরানের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন। তাকে হত্যার পেছনে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিন মার্কিন কর্মকর্তা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদাহ গত দুই দশক ধরে ইরানের পরমাণু অস্ত্র নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছিলেন। মার্কিন গোয়েন্দাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে শুরু করা ইরানের পরমাণু গবেষণার তথ্য ইসরায়েল চুরি করেছিল।
তিন মার্কিন কর্মকর্তা, যাদের মধ্যে দুই জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা রয়েছে, তারা বলেছেন, ইসরায়েল এ হামলাল নেপথ্যে ছিল। কিন্তু এটা পরিষ্কার নয় যে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এ হামলা সম্পর্কে এমন তথ্য পেল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ও খুব ভালো মিত্র এবং তারা নিজেদের মাঝে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করে। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস ও সিআইএ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ২০১৮ সালের একটি অনুষ্ঠানে ইরানবিরোধী আলোচনা করতে গিয়ে বিজ্ঞানী ফাখরিজাদাহর নাম বারবার উল্লেখ করেছিলেন। সে সময় তিনি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন- ‘স্মরণ রাখবেন নামটি হচ্ছে ফাখরিজাদে।’
এদিকে, মোহসেন ফখরিজাদাহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ইসরায়েল জড়িত বলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ প্রথম থেকেই জোরালো সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দ্বিমুখী নীতি পরিহার করে লজ্জাজনক এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান।
গতকাল শুক্রবার ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে তেহরানের দামাবন্দ এলাকায় ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদাহর ওপর হামলার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা তাকে ‘ইরানি বোমার জনক’ হিসেবে অভিহিত করতেন।