নারী এবং পুরুষের শ’রীরের গঠনে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে। পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের শ’রীর অনেক বেশি জটিল। সে কারণেই মেয়েদের বেশি করে নিজেদের খেয়াল রাখা উচিত। এখনকার নারীকে ঘরে-বাইরে সবদিক সামলাতে হয়। বয়স ত্রিশ পার হলে নারীকে নিতে হবে বিশেষ যত্ন। এই নিয়মগুলো মেনে চললে সু’স্থতাই হবে সঙ্গী- ত্রিশের পর থেকে নারী হাড়ের স্বা’স্থ্যের অবনতি ঘটতে শুরু করে। তাই এই সময় বেশি করে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শুরু ক’রতে হবে। সেইস’ঙ্গে সকাল ৭-৮ পর্যন্ত গায়ে রোদ লা’গাতে হবে। এতে শ’রীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূ’র হবে। ফলে হাড় ভালো থাকবে। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দুধ, দই, পনির, ব্রকলি, বাদাম প্রভৃতি।
যেসব রোগের ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া য়ায়, সেগুলো আপনি নিতে পারেন কি না সে বিষয়ে চিকি’ৎসকের স’ঙ্গে প’রামর্শ করে নিন। বেশিরভাগ মেয়েরাই ক্যালসিয়াম ডেভিসিয়েন্সি এবং অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। এই দুটি ক্ষেত্রে কী কী ব্যব’স্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে জে’নে নেওয়াটা জ’রুরি।
ত্রিশের পর থেকে নারীর শ’রীরে এমনকিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্র’ভাবে হরমোনাল ফাংশন ঠিকমতো হয় না। ফলে নানাবিধ রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এই কারণে নিয়মিত অশ্বগন্ধা এবং তুলসির মতো প্রকৃতিক উপাদান খাওয়া শুরু ক’রতে হবে। কারণ এমনটা করলে হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হতে শুরু করবে।
প্রতিদিন স্বা’স্থ্যকর খাবার খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকি’ৎসকের স’ঙ্গে প’রামর্শ করে একটা ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিন। সেই স’ঙ্গে প্রতিদিন শ’রীরচর্চা করুন। যাদের বয়স একটু বেশি তারা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর চিকি’ৎসকের পরমর্শ নিন।
ত্রিশের পর থেকে নারীর শা’রীরিক ক্ষ’মতা কমতে শুরু করে। ফলে স্বা’ভাবিকভাবেই শ’রীর এত মাত্রায় ক্লান্ত হয়ে পরে যে কোনো কাজ ক’রতেই মন চায় না। এমনটা যাতে আপনার স’ঙ্গে না ঘ’টে তা যদি সুনি’শ্চিত ক’রতে রোজে’র ডায়েটে মাংস, ডিম, নানাবিধ বীজ, বাদাম এবং ব্রাউন রাইসের মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।
যেসব রোগ শুধু মাত্র মেয়েদেরই হয়, যেমন- পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, ব্রেস্ট ক্যা’ন্সার, ওভারিয়ান ক্যা’ন্সার প্রভৃতি রোগের বিষয়ে একটু জে’নে নিন। বিশেষত লক্ষণগুলো স’স্পর্কে। এমনটা করলে দেখবেন অনেক রোগকেই আপনি প্রথম স্টেজে আ’টকে দিতে পারবেন।
স্ট্রেস হলো এমন একটি বিষ, যা একটু একটু করে শেষ করে দেয় মানব জীবন। বিশেষত মেয়েদের শ’রীরের উপরে তো স্ট্রেসের খুব বাজে প্র’ভাব পরে। তাই আজ থেকেই স্ট্রেসকে বিদা’য় দিন। বিশেষ করে যারা মা হওয়ার কথা ভাবছেন, তারা স্ট্রেস থেকে নিজেদের দূ’রে রাখু’ন। কারণ মা’নসিক চা’প শুধু আপনার উপর নয়, আপনার সন্তানের উপরও কিন্তু কুপ্রভব ফেলবে।