শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ কেন্দ্রের শতবর্ষী একটি বটগাছে ৭২টি চাক বেঁধেছে মৌমাছির দল। এতে গজনী অবকাশ কেন্দ্র ঘিরে নতুন আকর্ষণ জন্ম নিয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক দেখে অবাক স্থানীয়রা। ভিড় করছেন দূর-দূরান্তের ভ্রমণপিপাসুরাও।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, গজনী অবকাশ কেন্দ্রের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী বটগাছটি। গাছটির গোড়া থেকে শুরু করে মগডাল পর্যন্ত চাক বেঁধে নির্বিঘ্নে বাস করছে মৌমাছির দল। মৌমাছির গুঞ্জনে পুরো এলাকা মুখরিত। সবাই ওই বটগাছের কাছে কিছুক্ষণের জন্য থমকে দাঁড়াচ্ছে। অবাক হয়ে দেখছে হাজারো মৌমাছির খেলা।
জামালপুরের বকশীগঞ্জের আহসান হাবীব বলেন, অবকাশে বেড়াতে এসে দেখলাম শত বছর বয়সী ওই বটগাছে ৭২-৭৩টি মৌচাক। একটি গাছে এতগুলো চাক হতে পারে কখনো ভাবিনি। বিষয়টি আসলেই অবাক করার মতো।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বলেন, মৌচাকগুলোতে কেউ ঢিল ছোড়ে না। সেজন্য মৌমাছিরা নির্বিঘ্নে বসবাস করছে। একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক দর্শনার্থীদের জন্য নতুন আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে।
ঝিনাইগাতীর মৌচাষি আব্দুল হালিম বলেন, গজনী অবকাশ কেন্দ্রের বটগাছের বাসা বাঁধা মৌমাছিগুলো ডাচ জাতের। এরা সংঘবদ্ধভাবে এক জায়গায় থাকতে ভালোবাসে।
ঝিনাইগাতীর ইউএনও রুবেল মাহমুদ বলেন, একটি গাছে এতগুলো মৌচাক সচরাচর দেখা যায় না। বটগাছটিতে ৭০-৭৫টি মৌচাক রয়েছে। এসব মৌচাক থেকে কেউ যেন মধু আহরণ ও মৌমাছিদের বিরক্ত না করে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মৌচাকগুলো ভ্রমণপিপাসুদের কাছে গজনী অবকাশ কেন্দ্রের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে।