ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করার কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠোঁট রাঙাতে গিয়ে ঠোঁটের ক্ষতি নিয়ে শঙ্কায় বহু নারী। নামকরা কোম্পানির লিপস্টিক ও লিপগ্লস ব্যবহার করলেও সবার ত্বকে সব কিছু খাপ খায় না। সে কারণে সেদিকে নজর রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।ঠোঁটের কালচে দাগের পেছনে এটাই একমাত্র কারণ নয়। আর্দ্রতা হারালেও ঠোঁট বিবর্ণ হয়ে যায়। ঠোঁট কালো হয়ে যায়। ত্বকের মতো ঠোঁটেও একই ভাবে সানবার্ন হয়। এক নজরে দেখে নিন ঠোঁটের এই কালচে দাগ দূর করার সহজ উপায়–
পাতি লেবু আর চিনি: পাতি লেবুর পাতলা একটি টুকরোর ওপরে খানিকটা চিনি ছড়িয়ে দিয়ে রোজ ঠোঁটে মালিশ করুন। চিনি এখানে
স্ক্র্যাবারের কাজ করে। চিনি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে ঘষে তুলে দিতে সাহায্য করে আর লেবু ঠোঁটের কালো হয়ে যাওয়া চামড়াকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
পাতি লেবুর রস আর গ্লিসারিন: পাতি লেবুর রসের সঙ্গে খানিকটা গ্লিসারিন মিশিয়ে প্রতিদিন অন্তত দুবার করে ঠোঁটে মাখুন। দিন দশেকের মধ্যেই ফারাক চোখে পড়বে।
মধু, চিনি আর বাদামের তেল: মধু, চিনি আর বাদামের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে মালিশ করুন। এই মিশ্রণ আপনার ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার কোমলতাও বাড়াবে।
টমেটোর রস: প্রতিদিন অন্তত দু’বার করে টমেটোর রস ঠোঁটে মাখুন। এতে আপনার ঠোঁট উজ্জ্বল হবে।
চিনি আর মধু: মধুর আর চিনির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিনিট দশেক আলতোভাবে ঠোঁটে মাখুন। এই মিশ্রণ আপনার ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
দুধ বা টক দই: ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে ল্যাক্টিক অ্যাসিড খুবই উপকারী। দুধ বা টক দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টিক অ্যাসিড। দুধ বা টক দই তুলোয় নিয়ে প্রতিদিন অন্তত দু’বার করে ঠোঁটে মালিশ করুন। এটি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে ঘষে তুলে দিতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতেও সাহায্য করে।